,
প্রচ্ছদ | জাতীয় | আন্তর্জাতিক | অর্থনীতি | আমেরিকা | লাইফ স্টাইল | ভিডিও নিউজ | ফিচার | আমেরিকা | বিনোদন | রাজনীতি | খেলাধুলা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | শিক্ষা

কারিগরি প্রস্তুুতি নেই, শিক্ষক নিয়োগে হিমশিম খাচ্ছে এনটিআরসিএ

এ বি এন এ : কারিগরি প্রস্তুতি ছাড়াই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। ফলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় দেখা দিয়েছে জটিলতা। ১৫ হাজার শূণ্যপদের বিপরীতে ১৩ লাখ আবেদনকারীর প্রার্থীতা নিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় এন্ট্রি লেভেলে শিক্ষক নিয়োগ গত বছরের ২২ অক্টোবর থেকে বন্ধ রয়েছে। নতুন বিধিমালা অনুসারে ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডির বদলে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শিক্ষক নিয়োগের জন্য প্রার্থী বাছাইয়ের পরীক্ষা নেয়া ও নিয়োগের সুপারিশ করার ক্ষমতা পেয়েছে। কিন্তু পুরনো নিবন্ধনধারীদের নিয়োগ ও ১৩ তমদের পরীক্ষা ও ফলাফল প্রকাশ নিয়ে গ্যাঁড়াকলে পড়েছে তারা। নিয়োগ দিতে না পারায় ব্যাহত হচ্ছে পড়াশোনা। এরই মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২১ অক্টোবরের আগে প্রক্রিয়া শুরু করা এন্ট্রি লেভেলে নিয়োগ দিতে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়িয়ে দেয়ায় ধোয়াশা বেড়েছে বলে মনে করছেন প্রার্থীরা। নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ আইনের সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী নিয়োগের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জটিলতা দেখা দিয়েছে। বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকের চাহিদার তথ্য চেয়েছে এনটিআরসিএ। যেসব স্কুল এমপিওভুক্ত নয়, তারাও চাহিদা জানিয়েছে। আবার প্রার্থীরা না বুঝে এমপিওভুক্ত নয় এমন অনেক স্কুলের জন্য আবেদন করেছেন। এখন পর্যন্ত দ্বাদশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা শেষ হয়েছে। উত্তীর্ণ প্রার্থী প্রায় সাড়ে চার লাখ। তাঁদের তিন লাখেরও বেশি জনের এখনো চাকরি হয়নি। দশম নিবন্ধন পর্যন্ত সনদের মেয়াদ ছিল আজীবন। ফলে একজন প্রার্থীর ৫৯ বছর পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত চাকরি পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু একাদশ নিবন্ধন থেকে মেয়াদ মাত্র তিন বছরের। ত্রয়োদশ নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এবার থেকে যতগুলো পদ শূন্য থাকবে ততজনকে উত্তীর্ণ করা হবে। তাহলে দ্বাদশ নিবন্ধন পরীক্ষা পর্যন্ত উত্তীর্ণরা কি আর চাকরির সুযোগ পাবেন না? এ ধরনের নানা জটিল হিসাব-নিকাশের গ্যাড়াঁকলে পড়েছে এনটিআরসিএ। আবেদনকারীরাও উৎকন্ঠায় রয়েছেন। হাসান তারেক নামের এক প্রার্থী বলেন, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা রয়েছে। ফল প্রকাশের নির্দিষ্ট দিনক্ষণ নেই। আমরা কত দিন অপেক্ষা করব? তিনি বলেন, যদি উপজেলা কোটায় নেওয়া হয়, তাহলে আগেই কেন উপজেলা মেধাতালিকা প্রকাশ করা হলো না? আমি ১০টি আবেদন করেছি। প্রতিটিতে ১৮০ টাকা খরচ হয়েছে। উপজেলা মেধাতালিকা জানা থাকলে এত টাকা খরচ হতো না। জানা যায়, ১৫ হাজার পদের জন্য গত জুলাই মাসে ১৩ লাখ আবেদনপত্র জমা পড়ে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ করতে পারছে না এনটিআরসিএ। এক বছর ধরে নিয়োগ বন্ধ থাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক সংকট চরমে পৌঁছেছে। ব্যাহত হচ্ছে লেখাপড়া। আগে শিক্ষক নিয়োগ দিত স্কুল ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি। তাদের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে অদক্ষ শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগের জন্য একেকজনকে দিতে হতো ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা। এ জন্যই বিধিমালা সংশোধন করে এনটিআরসিএর কাছে নিয়োগের ক্ষমতা দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সবাই এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানায়। কিন্তু বিপুলসংখ্যক আবেদনপত্র নিয়ে গ্যাড়াঁকলে পড়েছে এনটিআরসিএ। এনটিআরসিএর চেয়ারম্যান এ এম এম আজহার বলেন, ১৩ লাখ আবেদনপত্রের ডাটা প্রসেসিংয়ে সময়ের দরকার। দিনক্ষণ ঠিক করে বলতে পারব না কবে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হবে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনটিআরসিএর একাধিক সূত্র জানায়, গত জুনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে শিক্ষকের চাহিদার তথ্য নেয় এনটিআরসিএ। জুলাইয়ে অনলাইনে আবেদনপত্র চাওয়া হয়। ১৫ হাজার পদের জন্য ১৩ লাখ আবেদনপত্র জমা পড়ে। আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই নিয়েই হ-য-ব-র-ল অবস্থা। তারা বলেন, একাদশ শ্রেণীতে ভর্তির আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ে যে সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়, শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রেও একই রকম সফটওয়্যার ব্যবহৃত হওয়ার কথা। ওই সফটওয়্যার সাত-আট দিনের মধ্যে ৩০ লাখের বেশি আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই করে ফল দিতে পারে। অথচ এখানে আবেদনপত্র জমা পড়েছে মাত্র ১৩ লাখ। এর পরও দেড় মাস ধরে তাদের যাচাই-বাছাই চলছে। অপর এক সূত্র জানায়, নিবন্ধন অফিসের কর্মকর্তাদের অদক্ষতার কারণে প্রক্রিয়া শেষ হতে এত সময় লাগছে। প্রথমবারের মতো তারা এত বড় পরীক্ষা ও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট হয়েছেন। এর চেয়ারম্যান ও কর্মকর্তাদের কেউ আগে এ ধরনের প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না। বাংলাদেশ অধ্যক্ষ পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মাজহারুল হান্নান জানান, ১৪ লাখ শিক্ষার্থীকে অনলাইনে কলেজে ভর্তিপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে বুয়েটের সহায়তা নেওয়া হয়। এ নিয়োগের কাজে আইটি বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেওয়া উচিত ছিল। তাহলে দ্রুত কাজ শেষ করা সম্ভব হতো। এনটিআরসিএর পরিচালক মো. তৌহিদুর রহমান বলেন, আমরা দ্রুততার সঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছি। ১৩ লাখ আবেদনকারীর তথ্য যাচাই-বাছাই করতে হচ্ছে। ভুল হলে বড় সমস্যা তৈরি হবে। চেষ্টা করছি চলতি মাসেই যাচাইয়ের কাজ শেষ করতে।

Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali
Managing Director: Akbar Hossain
Executive Editor: Mehedi Hasan
E-mail : abnanewsusa@gmail.com
Usa Office: 289 West Koach Avenue, Egg harbor City, New Jersey-08215, Bangladesh Office : 60/1. Purana Paltan (2nd Floor), Dhaka-1000, Usa. Phone: +16094649559, Cell:+8801711040113, +8801912-621573
Server mannarged BY PopularServer
Design & Developed BY PopularITLimited