এবিএনএ: আইনজীবীদের ভবন, স্বল্পমূল্যে জমি বরাদ্দসহ নানা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আর্থিক স্বচ্ছলতা আসলে আস্তে আস্তে করে দেবো। তবে একটা শর্ত আছে, অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে যারা জড়িত, সেই মামলাগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে। এটাই আমার অনুরোধ এবং দাবি।’ শনিবার (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন ও আইনজীবী মহাসমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি জানি একটি দাবি আছে, আইনজীবী ভবন করে দেওয়ার। আর্থিকভাবে যত স্বচ্ছলতা আসবে, ধীরে ধীরে সব জেলায় এটা করে দিতে পারবো। তবে এখানে একটা শর্ত আছে, সেখানে আইনজীবীদের পক্ষ থেকেও ফান্ড থাকতে হবে। আপনারা একটা ফান্ড গঠন করেন। সেখান থেকে কিছু দেন, আমিও কিছু দেবো।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘২০০১ সালে বাংলাদেশের গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দিয়ে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় আসে। তারা দেশের অর্থ পাচার করেছে। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের দেশ বানিয়েছে। সারাদেশে বোমা হামলা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা করেছে। বেঁচে গেছি, এটা ঠিক। কিন্তু তার দেশে সন্ত্রাসের অভয়ারণ্য করেছে।’
তিনি বলেন, ‘খুনিদের জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসিয়েছেন। সে সময় আমি দেশে ফিরে আসি। দেখি, ক্ষমতাসীনরা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে কিছু লোকের ভাগ্য উন্নয়ন করেছে, কিন্তু জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়নি। আমি গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বেড়াই। মানুষের কষ্ট দুর্দশা দেখি। পরে ২১ বছর পর আমরা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করি। বিচার বিভাগের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেই।’
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতা এদেশের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ৬ দফা দিয়েছেন। যতবার তিনি এদেশের মানুষের জন্য কথা বলেছেন, নির্যাতিত হয়েছেন, বন্দি হয়েছেন, জেল খেটেছেন। সাজাও দেওয়া হয়েছে, কিন্তু থেমে যাননি। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমাদের পথচলা।’
মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। আরও বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, অ্যাটর্নি জেনারেল ও বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান এ এম আমিন উদ্দিন, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ রেজাউর রহমান, আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু ও আইন সচিব গোলাম সরওয়ার। সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ‘বঙ্গবন্ধুর আইনি দর্শন’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন।