জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

সব দলকে সাহস করে ভোটে আসতে বললেন সিইসি

এবিএনএ: দেশের সব রাজনৈতিক দলকে সাহস করে ভোটে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। রাজনৈতিক দলগুলোকে আশ্বস্ত করে সিইসি বলেন, ভোটকে আমরা অস্বচ্ছ হতে দেব না। ভোটের দিন কোনো অস্বচ্ছতার চেষ্টা হলে নির্বাচন বন্ধ করে দেব।

এদিকে হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পরই বেশ কিছু ‘অ্যাকশন’ নিয়েছে, যা আগে দেখা যায়নি। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এক প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করে দিয়েছে ইসি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের আরেক প্রার্থী ভোট ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দেওয়ার পর সেখানে নির্বাচন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। একজন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠায় সেখানেও ভোট স্থগিত করেছে কমিশন।

অপরদিকে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইন লঙ্ঘন করে প্রচার চালানোর অভিযোগ উঠার পর সরকারি দলের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারকে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসি। তবে ইসির এসব পদক্ষেপের পরও বিরোধী রাজনৈতিক জোটের নেতৃত্ব দেওয়া বিএনপি হাবিবুলের কমিশনের বিষয়ে ‘নেতিবাচক’ অবস্থানেই রয়েছে।  বিএনপি বলছে, এই ইসির অধীনে তারা কোনো ভোটে যাবে না।

এ অবস্থায় সব দলের অংশগ্রহণে ভোটের ওপর জোর দিয়ে সিইসি হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘নির্বাচন যদি অংশগ্রহণমূলক না হয়, তাহলে প্রকৃত অর্থে সেটা নির্বাচন হয় না। ২০০ বা ২৫০ সিট যদি বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় হয়ে যায়, তাহলে হয়ত সরকার গঠন হবে, কিন্তু সেটার লেজিটিমেসি (বৈধতা) অনেক কমে যাবে।বিরোধী দলগুলোকে সাহস নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। দৃঢ়ভাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।’

নির্বাচনকে অস্বচ্ছ করার জন্য যদি ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট করা হয়, তাহলে সেই নির্বাচনকেও ব্ল্যাক আউট বা বন্ধ করে দেওয়া হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, নির্বাচন স্বচ্ছ হতে হবে। নির্বাচন নিয়ে কোনো কূটকৌশল করতে পারবেন না। যদি নির্বাচনকে আড়াল করার জন্যে ইন্টারনেট ব্ল্যাক আউট করে, তাহলে আমাদের তরফ থেকে স্পষ্ট করে বক্তব্য থাকবে, সেটা টলারেট করা হবে না।’

হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘কমিশন বিশ্বাস করে, সরকার এবং দলের মধ্যে পার্থক্য আছে। সেই বিভাজনকে ভুলে গেলে চলবে না। কমিশনকে সাহায্য করবে সরকার, দল নয়।’ এ সময় নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার নিয়ে সিইসি বলেন, ‘নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার করতে চাই। ইভিএম আমাদের জন্য খুবই সুবিধাজনক একটি জিনিস। … কারণ ওখানে গিয়ে আমি ১০টি ভোট দিতে পারব না। আরেকজন ৫০টি ব্যালট ছিনতাই করে ভোট দিতে পারবে না। কারণ আগে আইডেন্টিফাইড (শনাক্ত) হতে হবে, পরে বায়োমেট্রিক্স মিলতে হবে।’

Share this content:

Back to top button