এ বি এন এ : নতুন বাজেটে বিড়ি ও সিগারেটের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। নতুন বাজেটে অর্থমন্ত্রী ১০টি সিগারেটের প্যাকেটের সর্বনিম্ন দাম ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন।
তিনি বলেছেন, দীর্ঘদিন ধরে সিগারেটের মূল্যসীমা নির্ধারণ করে দেওয়ার একটি রেওয়াজ প্রচলিত ছিল। এটি বাজার অর্থনীতিতে মোটেও কাম্য নয়। এখন শুধু সিগারেটের সর্বনিম্ন মূল্যই নির্ধারণ করা হবে। এবার সর্বোচ্চ দাম ঠিক করে দেওয়া হবে না। সেটি ঠিক করবে সিগারেট কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, এর সঙ্গে অন্য প্রস্তাব হলো, সম্পূরক শুল্কহার ৪৮ থেকে বৃদ্ধি করে ৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা এবং এর ঊর্ধ্বে যে দুটি স্তরে সম্পূরক শুল্ক বিদ্যমান আছে, তাকে যথাক্রমে ৬১ ও ৬৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৬২ ও ৬৪ শতাংশ নির্ধারণ করার প্রস্তাব করছি।
শুধু সিগারেট নয়, তামাকজাত পণ্য হিসেবে বাড়ছে বিড়ির দামও। আগে যেখানে ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার এক প্যাকেট বিড়ির দাম ছিল সাত টাকা ছয় পয়সা, সেখানে তা বাড়িয়ে ১০ টাকা ৫০ পয়সা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া ফিল্টারযুক্ত ২০ শলাকার প্রতি প্যাকেটের দাম ছিল সাত টাকা ৯৮ পয়সা। নতুন বাজেটে তা ১২ টাকার বেশি পড়বে।
মন্ত্রী বলেন, বিড়ির ভয়াবহতা সিগারেটের চেয়েও বেশি। একসময় দেশের দরিদ্র জনগণের বিনোদনের একমাত্র অবলম্বন ছিল বিড়ি। কিন্তু বর্তমান সরকারের অর্জিত ব্যাপক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও বিনোদনের অনেক উপাদান পৌঁছে গেছে। এ ছাড়া বিড়ি উপখাতটি অনেক সংকুচিত হয়ে গেছে। এ খাতে নিয়োজিত শ্রমিকের সংখ্যাও বর্তমানে নগণ্য।
দুই ধরনের বিড়ির ক্ষেত্রে বিদ্যমান সম্পূরক শুল্ক হার যথাক্রমে ২৫ ও ৩০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩০ ও ৩৫ শতাংশে বৃদ্ধি করা হবে। এতে ফিল্টারবিহীন ২৫ শলাকার প্যাকেটের দাম হবে সাড়ে ১০ টাকা, আর ২০ শলাকার প্রতি প্যাকেটের দাম হবে ১২ টাকার একটু ওপরে।
গত বছরের বাজেটেও এক দফা সিগারেটের দাম বাড়ানো হয়। সর্বনিম্ন ১০ শলাকার এক প্যাকেট সিগারেটের দাম ১৫ থেকে ১৬ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে করা হয় ১৮ টাকা। বিড়ির দামও বেড়েছিল প্যাকেটপ্রতি এক টাকার কিছু বেশি। এর পাশাপাশি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের মতো বিড়ি, জর্দা, গুলসহ সব ধরনের তামাকজাত পণ্য উৎপাদন ব্যবসা থেকে অর্জিত করযোগ্য আয়ের ওপর ৪৫ শতাংশ হারে কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।