
এবিএনএ: ইরানী প্রেসিডেন্ট হাসান রূহানীকে চরম সতর্ক করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় রবিবার রাতে রূহানীকে উদ্দেশ্য করে লেখা এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লিখেছেন, আর কখনো যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেবেন না, নয়তো এমন পরিণতি ভোগ করতে হবে, যেমনটা ইতিহাসে খুব কম সংখ্যকরাই ভোগ করেছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্স’র।
খবরে বলা হয়, ট্রাম্পের টুইটা বার্তার ঘণ্টা কয়েক আগেই ট্রাম্পকে হুমকি দিয়ে রূহানী বলেন, তেহরানের প্রতি আক্রমণাত্মক নীতিমালার কারণে ‘দুনিয়ার সবচেয়ে বড় যুদ্ধ’ সৃষ্টি হতে পারে।
রূহানীর হুমকির জবাবে স্থানীয় সময় শেষ রাতের দিকে রূহানীকে উদ্দেশ্য করে লেখা এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লিখেন: আর কখনো, আমাদের হুমকি দেবেন না। অন্যথায় এমন পরিণতি ভোগ করতে হবে, যেমনটা ইতিহাসে খুব কম সংখ্যকরাই ভোগ করেছে। আমরা আর এমন কোন দেশ নেই যারা আপনাদের সহিংসতা ও মৃত্যুর শব্দে চুপ থাকবে। সতর্ক হোন।

ইরানের নেতাদের ‘মাফিয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও
সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে তেহরানের বাকযুদ্ধ চরম পর্যায়ের পৌঁছেছে। ট্রাম্প প্রশাসন, চাপ সৃষ্টি করে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচির সমাপ্তি ঘটাতে চাইছে বোলে জানিয়েছে ঘটনার সম্পর্কে জানাশোনা আছে এমন মার্কিন কর্মকর্তারা। এই বছরের মে মাসে ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়ে আসেন ট্রাম্প। এরপর থেকেই ইরানের ওপর পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধ করতে চাপ সৃষ্টি করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি সে চাপ সৃষ্টির প্রচেষ্টা দু’দেশের মধ্যে বাকযুদ্ধের সৃষ্টি করেছে। রবিবার এক ভাষণে ইরানের নেতাদের ‘মাফিয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। পাশাপাশি তিনি বলেন, সরকার-বিরোধী ইরানীদের সমর্থন দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

ট্রাম্পকে হুমকি দিয়ে রূহানী বলেছেন, সিংহের লেজ নিয়ে খেলবেন না ট্রাম্প, এতে কেবল আফসোসই হবে
এদিকে ইরানী কূটনীতিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে ট্রাম্পকে হুমকি দিয়ে রূহানী বলেন, সিংহের লেজ নিয়ে খেলবেন না ট্রাম্প, এতে কেবল আফসোসই হবে। তিনি বলেন, আমেরিকার এটা জানা উচিৎ যে, ইরানের সঙ্গে শান্তি মানেই সবচেয়ে বড় শান্তি। আর ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ মানে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ।
Share this content: