
এবিএনএ : আওয়ামী লীগের ভেতরে কোনো সমস্যা থাকলে গণমাধ্যমকে না জানিয়ে সরাসরি তার সঙ্গে কথা বলতে দলীয় নেতা-কর্মীদের তাগিদ দিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিকাল পাঁচটা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত দেখা করা যাবে বলেও জানান তিনি।
রবিবার রাজধানীর ধানমন্ডির একটি কমিউনিটি সেন্টারে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক জেলার দপ্তর, উপদপ্তর ও সম্পাদকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কথা বলেন। দলের ভেতরের কথা নিয়ে গণমাধ্যমে না যাওয়ার কথা বলে তিনি বলেন, ‘ঘরের কথা পরকে বলার সময় একটু সতর্ক থাকা প্রয়োজন।’
ওবায়দুল কাদের এই কথা বলার আগের দিন গণভবনে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় দলের ভেতরের বিশৃঙ্খলা আর সংসদ সদস্যদেরকে নিয়ে সভাপতির কাছে নানা অভিযোগ করেন তৃণমূলের নেতারা। এক নেতা সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সাম্প্রতিক নানা বক্তব্যেরও সমালোচনা করেন। রুদ্ধদ্বার বৈঠকের এসব কথা হুবহু ছাপা হয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘গণমাধ্যমের কাছে যেতে হয়, তারাও আমাদের কাছে আসেন। কিন্তু গণমাধ্যম স্পর্শকাতর বিষয়। তাদের সাথে কৌশলী আচরণ করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘গণমাধ্যমের সবাই আওয়ামী লীগ করে না। তাই আমরা যখন আমরা গণমাধ্যমের কথা বলব, তখন অত্যন্ত সতর্কভাবে করবে। গণমাধ্যমের সাথে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এটা দলের স্বার্থে। আর গণমাধ্যমের কর্মীরা আমাদের কাছে আসে, দলের স্বার্থ রক্ষা করে তাদের তথ্য দিতে হবে, প্রেস রিলিজ দিতে খুবই সতর্কভাবে দিতে হবে।’
‘আমার সাথে দেখা করতে চাইলে (দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে) বিকাল পাঁচটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত সুযোগ আছে দেখা করতে পারবেন। সকালেও আসি প্রায় সেসময়ও কেউ জরুরি মনে করলে দেখা করতে পারবেন’-বলেন ওবায়দুল কাদের।
দলের কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করার কথাও বলেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘কোনো অভিযোগ থাকলে আগে স্ব স্ব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠিক সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদককে অবহিত করবেন। এটা নিয়ে সরাসরি দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদককে অবহিত করার দরকার নাই। তাদের কাছে যদি সুরাহা না হয়, তাহলে সাধারণ সম্পাদকের কাছে আসবেন। অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাই আমাকে বলবেন। আমি বিষয়গুলো নিয়ে দলের সভাপতির সাথে কথা বলব। আলোচনা করেই সমস্যাগুলো নিরসন করব।’
Share this content: