জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

‘শহীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না’

এবিএনএ : শহীদের রক্ত কোন দিন বৃথা যায় না, বৃথা যেতে পারে না। স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর গণহত্যাকে জাতীয় দিবস হিসেবে ঘোষণা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ হয়েছে ২ লাখ মা বোনের সম্ভ্রমহানী হয়েছে। তারপরেও বেগম খালেদা জিয়া শহীদের সংখ্যা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বলেই পাকিস্তানিরা বাংলাদেশ নিয়ে কথা বলার সাহস পায়।
শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হল উপাসনালয়ে ছাত্রলীগ আয়োজিত গণহত্যা দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। প্রধান আলোচক ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ইউজিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান ড. এ. কে. আজাদ চৌধুরী, বিশেষ অতিথি ছিলেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হায়দার চৌধুরী রোটন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, ৬৯ এর গণ আন্দোলনের পর থেকেই বঙ্গবন্ধুর কাছে আসতে পেরেছি। বঙ্গবন্ধুকে গভীরভাবে জানার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। তিনি ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতের বাস্তব চিত্র তার বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন। বাণিজ্যমন্ত্রী পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বরতা, নিষ্ঠুরতা, অমানবিকতার কথা তুলে ধরেন। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণার লিফলেট সেদিন রাতে পত্রিকার দেওয়ার উদ্দেশ্যে ফকিরাপুল গিয়েছিলেন তিনি। তারপর জানতে পারেন পাকিস্তানি আক্রমণ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
২৫ মার্চ এর গণহত্যার কথা বলতে গিয়ে সমকালীন বিশ্বের আর্মেনিয়া গণহত্যা, রুয়াণ্ডার গণহত্যা, ভিয়েতনাম গণহত্যা, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের গণহত্যার কথা উল্লেখ করেন তোফায়েল আহমেদ।
ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, একাত্তরের পরাজিত শক্তিরাই জঙ্গিবাদ আর আত্মঘাতি হামলার পথ বেছে নিয়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতেৃত্বে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন, সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান লিমন, মো. আসাদুজ্জামান আসাদ, দপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা প্রমুখ।

Share this content:

Related Articles

Back to top button