
এবিএনএ : হাজারীবাগে থাকা সব ট্যানারি অবিলম্বে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আজ সোমবার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি মো. সেলিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) করা এক আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকে ট্যানারি বন্ধের এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আর এ কাজে তাকে সহযোগিতা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, শিল্প সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ঢাকার পুলিশ কমিশনারকে। আদালতে বেলার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ফিদা এম কামাল, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও মিনহাজুল হক চৌধুরী। শিল্পসচিবের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রইস উদ্দীন আহমদ।
জানা গেছে, কারখানাগুলো বন্ধ ও গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশনা চেয়ে আবেদনটি করা হয়। আদালত অবিলম্বে ট্যানারিগুলো বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশনা বাস্তবায়নের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী ৬ এপ্রিল দাখিল করতে বলা হয়েছে। ১০ এপ্রিল বিষয়টি পরবর্তী আদেশের জন্য আসবে। গত ১৬ জুন হাইকোর্টের রায়ে বলা হয়, হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি না সরানো পর্যন্ত পরিবেশের ক্ষতি হিসেবে ১৫৪ কারখানার মালিককে প্রতিদিন ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে। পরে ট্যানারি মালিকেরা আপিল বিভাগে গেলে আপিল বিভাগ দৈনিক ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা পরিশোধের নির্দেশ দেন। পরবর্তী সময়ে দেখা যায়, ট্যানারি কারখানাগুলো হাজারীবাগের আছে, তবে জরিমানার অর্থ প্রদান করছে না। এ অবস্থায় আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। শিল্পসচিব আদালতে হাজির হয়ে জানান, দেড় শর বেশি কারখানা রয়েছে, যাদের বকেয়ার পরিমাণ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এরপর ২ মার্চ আদালত ওই সব কারখানাকে দুই সপ্তাহের মধ্যে সরকারি কোষাগারে বকেয়া জরিমানা জমা দিতে নির্দেশ দেন। এর আগে ২০০১ সালে হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প সরিয়ে নিতে রায় দেন হাইকোর্ট। এরপর কয়েক দফা এই সময়সীমা বাড়ানো হয়।
Share this content: