এ বি এন এ : প্রচণ্ড গরম, বর্ষার আর্দ্রতায় কিংবা তীব্র শীতের সময়টাতেই এই সমস্যায় বেশি ভুগতে হয়। কেউ কেউ আবার সবসময়ই ভোগেন। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর দেখা যায় চোখ খুলতে কষ্ট হয়। ব্যথায় যেন ছিঁড়ে পড়তে যাচ্ছে মাথা। কারো কারো সেই সঙ্গে হয় বমি বমি ভাব। ডিহাইড্রেশন, অতিরিক্ত রোদ লাগা, ক্লান্তি, হ্যাংওভার, হজমের সমস্যা, স্ট্রেস, যে কোনো কারণেই হতে পারে মাইগ্রেন অ্যাটাক। এই সময় ওষুধ না খেয়ে এমন কিছু খান যা মাথা যন্ত্রণা কমিয়ে আপনাকে স্বস্তি দেবে। সারাদিনের কাজের জন্য নিজেকে তৈরি করতে পারবেন। জেনে নিন এমনটা হলে সকালের নাস্তায় কী কী খাবেন:
সালাদ: ডিহাইড্রেশনের কারণ মাইগ্রেনের যন্ত্রণা অসহ্য হয়ে উঠতে পারে। সকালের নাস্তায় রাখতে পারেন সবজির সালাদ। কেননা টাটকা সবজিতে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে। যা শরীরে পানির মাত্রা বাড়িয়ে ডিহাইড্রেশন কমাতে সাহায্য করে। ফলে মাথাব্যথা কমে যায়।
কফি: মাথা ধরা কমানোর জন্য সকালে উঠে গরম ধোঁয়া ওঠা কফি দারুণ উপকারী। কিন্তু অবশ্যই পরিমিত পরিমাণে খান। অতিরিক্ত ক্যাফেইনে হিতে বিপরীত ফল হতে পারে।
কলা: প্রচণ্ড মাথা যন্ত্রণায় চোখ বুজে খেয়ে নিন কলা। এর মধ্যে থাকা ম্যাগনেশিয়াম রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক করে মাথা ধরায় স্বস্তি এনে দেবে।
ঝাল খাবার: যদি বর্ষায় সর্দি জমে বা অ্যালার্জির কারণে মাথা ধরে থাকে, তাহলে ঝাল খাবার খান। জমা সর্দি বের করে দিয়ে মাথা ধরা ছাড়িয়ে দেবে ঝাল খাবার।
আলু: খোসাসহ আলুসেদ্ধ মাথাব্যথা কমানোর সবচে’ ভালো উপায়। আলুর খোসায় প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম থাকে। শরীর পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়লে মাইগ্রেনের ব্যথা কমবে। আলুসেদ্ধ সকালের নাস্তায় খাওয়া স্বাস্থ্যকরও বটে।
দই: শরীরে ক্যালসিয়ামের পরিমাণ কমে গেলে মাথাব্যথা হয়। দইয়ের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম থাকে। সকালে উঠে দই খেলে মাথা ধরা যেমন কমবে, তেমনই স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো।
শসা: সকালে উঠে প্রথমেই খালি পেটে এক গ্লাস পানি খেলে মাইগ্রেনের সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়। শসা এমনই এক ফল যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে। তাই ঘুম থেকে উঠে মাথা ধরে থাকলে খেয়ে নিন শসা। আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে।