এ বি এন এ : যুদ্ধাপরাধী জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীকে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চালা গ্রামের নিজ বাড়িতে দাফন করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় নামাজে জানাজা শেষে মীর কাসেমকে দাফন করা হয়। এর আগে রাত ২টা ৪৫ মিনিটে মীর কাসেমের মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স তার বাড়িতে পৌঁছে। কাশিমপুর কারাগারে রাত সাড়ে ১০টায় জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকর করা হয়। এরপর রাত ১২টা ৩২ মিনিটে তার লাশ নিয়ে গ্রামের বাড়ির দিকে রওনা দেয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মীর কাসেমের ফাঁসির আগেই কারাগারের মূল ফটকের সামনে আসে তিনটি অ্যাম্বুলেন্স। এর একটিতে ছিল কফিন। পরে রাত ১২টা ৩২ মিনিটে একটি অ্যাম্বুলেন্স কারাগারের ভেতর থেকে মীর কাসেমের লাশ নিয়ে বেরিয়ে আসে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়া পাহাড়ার মধ্য দিয়ে তিনটি অ্যাম্বুলেন্সের সামনে বিজিবি, পুলিশ এবং র্যাবের ছয়টি গাড়ি এবং পেছনে পুলিশের তিনটি গাড়ি ছিল। ওই বহরে ছিলেন একজন ডেপুটি জেলার। তার নেতৃত্বে কঠোর নিরাপত্তায় লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সটি মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের উদ্দেশে রওনা হয়। মীর কাসেমের লাশবাহী গাড়ি বহর আশুলিয়া, নবীনগর, ধামরাই, সাটুরিয়া হয়ে মানিকগঞ্জের শহরের ওপর দিয়ে হরিরামপুর চালা গ্রামে পৌঁছায়।