কৃষানী জাহানারা বেগম বলেন, আমার স্বামী আজগর শেখ একজন প্রতিবন্ধী। অনেক কষ্ট করে অল্প জায়গায় ধানের চাষাবাদ করি। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টির মধ্যে ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এর মধ্যে এলাকার সেচ্ছাসেবক লীগের ভাইয়েরা আমার ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিলেন। এই দর্যোগ মুহুর্তে তাদের কথা কোনদিন ভুলতে পারবো না। আমি খুব খুশি হয়েছি।
করোনা পরিস্থিতি ও অতিবৃষ্টির মধ্যে হতদরিদ্র কৃষকের ধান কেটে দেওয়ায় এলাকাবাসিও খুশি হয়েছেন ।

বাগেরহাট সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ইমরান আহম্মদ মনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক সংকট থাকায় আমরা হতদরিদ্র কৃষকের ধান কেটে দেওয়ার উদ্দ্যোগ নেই। গত ৫দিন ধরে ৬ জন কৃষকের ধান কেটে দিয়েছি। বেমরতা ইউনিয়নের বৈটপুর চিতলী গ্রামের অসহায় জাহানারা বেগম নিজে কস্ট করে এই ধান চাষ করেছিলেন, তার স্বামী প্রতিবন্ধী ,অনেক কস্টের সংসার, তার ধান পানিতে ডুবে নষ্ট হয়ে যাবার অবস্থার সৃষ্টি হয়। এবস্থায় আমরা তার জমির ধান কেটে বাড়ি পৌছে দিয়েছি। আমাদের এই কর্মসুচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ও অতিবৃষ্টির মধ্যে হতদরিদ্র কৃষকের ধান কেটে দিতে পেরে আমাদের ধন্য মনে করছি’।