আমেরিকালিড নিউজ

ভারতে ৬ পরমাণু বিদ্যুৎ চুল্লি নির্মাণ করবে যুক্তরাষ্ট্র

এবিএনএ: নিরাপত্তা ও বেসামরিক পরমাণু সহযোগিতা আরও জোরদার করতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত। সে ক্ষেত্রে ভারতে ছয়টি মার্কিন পরমাণু বিদ্যুৎ চুল্লি স্থাপন করা হবে বলে বুধবার এক যৌথ বিবৃতিতে দেশ দুটি জানিয়েছে। ওয়াশিংটনে দুদিনের বৈঠকের পর নয়াদিল্লি ও ওয়াশিংটন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অধীন মার্কিন প্রশাসন পৃথিবীর তৃতীয় বৃহৎ তেল ক্রেতা ভারতের কাছে আরও বেশি জ্বালানি বিক্রি করতে চাচ্ছে।

ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোখালে এবং যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তাবিষয়ক আন্ডারসেক্রেটারি অ্যান্ড্রু থমসনের মধ্যে চুক্তি আলোচনা হয়েছে। একদশকের বেশি সময় ধরে জ্বালানি-ক্ষুধার্ত ভারতে মার্কিন পরমাণু চুল্লি সরবরাহে দুই দেশ আলোচনা করে আসছিল। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা অনুসারে ভারতীয় নীতি প্রণয়নে দীর্ঘস্থায়ী বাধার কারণে এমনটি ঘটছিল না। আন্তর্জাতিক নীতি অনুসারে পরমাণু চুল্লির যেকোনো দুর্ঘটনার দায় সেটির নির্মাণকারীদের ওপর না, নিয়ন্ত্রণকারীদের ওপরই চাপবে। বহুবছর ধরে ভারতে চুল্লি নির্মাণে আলোচনা চালিয়ে আসছে পিটসবার্গভিত্তিক ওয়েসটিংহাউস। কিন্তু ভারতের পরমাণু দায় আইনের কারণে আলোচনার অগ্রগতি ছিল খুবই ধীর। যুক্তরাষ্ট্রের পরমাণু চুল্লির খরচ অতিরিক্ত ছাড়িয়ে যাওয়ায় ২০১৭ সালে ওয়েসটিংহাউসের বিরুদ্ধে দেউলিয়া মামলা হলে প্রকল্পটি অনিশ্চয়তায় পড়ে যায়।

কানাডার ব্রুকফিল্ড অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ২০১৮ সালের আগস্টে তোশিবা থেকে ওয়েসটিংহাউসকে কিনে নেয়। গত বছরের এপ্রিলে মার্কিন জ্বালানিমন্ত্রী রিক পেরির কাছ থেকে ভারতীয় প্রকল্পের জন্য জোরালো সমর্থন পায় ওয়েসটিংহাউস। এতে অন্ধ্রপ্রদেশে ছয়টি এপি১০০০ চুল্লি নির্মাণের কথা বলা হয়েছে। ২০১৬ সালে এই পরমাণু চুল্লি নির্মাণের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল। পরে ২০০৮ সালে ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র বেসামরিক পরমাণু চুক্তিতে সই করে। জীবাশ্ম জ্বালানির দূষণ থেকে অর্থনীতিকে বাঁচাতে এশিয়ার তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতি ভারত ২০১৪ সালের মধ্যে তার পরমাণু বিদ্যুৎ সক্ষমতা তিন গুণ করতে চায়। গত বছর অক্টোবরে নয়াদিল্লিতে রাশিয়ার কর্মকর্তাদের সঙ্গে সম্মেলনের পর একটি নতুন জায়গায় ছয়টি পরমাণু চুল্লি নির্মাণে চুক্তি করেছিল ভারত।

Share this content:

Back to top button