আন্তর্জাতিকআমেরিকালিড নিউজ

‘ইরান পরমাণু চুক্তি’ নিয়ে তুলকালাম বাঁধালেন ট্রাম্প

এবিএনএ : ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি নিয়ে তুলকালাম বাঁধালেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
যেকোনো সময় পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রের বেরিয়ে যাওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া ইরানের সন্দেহভাজন পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র কার্যক্রম নিয়ে নতুন করে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুংকার দিয়েছেন ট্রাম্প।
ইরানকে কড়া ভাষায় আক্রমণে ইসরায়েল ও সৌদি আরব খুশি হলেও পরমাণু চুক্তির অন্য অংশীদাররা অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ট্রাম্পের এ ধরনের হুমকির বিরোধিতা করেছেন। এ ছাড়া পাল্টা জবাব দেওয়ার কথা বলেছে ইরান।
ট্রাম্পের অভিযোগ, ২০১৫ সালে হওয়া পরমাণু চুক্তির শর্ত মানছে না ইরান। তা ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যে সন্ত্রাস ও সহিংসতার জন্য দেশটিকে দায়ী করেছেন তিনি। ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরান যেন কখনোই পরমাণু অস্ত্রের মালিক হতে না পারে- এটিই তার একমাত্র লক্ষ্য।
সন্ত্রাসে সমর্থনের অভিযোগে ইরানের ইসলামি রেভ্যুলিউশানরি গার্ডের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। সিরিয়া, ইয়েমেন ও ইরাকে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য ইরানকে দায়ী করেছেন তিনি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেছেন, আমরা এমন কোনো পথ অব্যাহত রাখতে পারি না, যে পথের সম্ভাব্য পরিসমাপ্তিতে আরো সহিংসতা, আরো সন্ত্রাস ও ইরানের পরমাণু অস্ত্রের ছড়াছড়ি রয়েছে।
তবে ইরানের পরমাণু চুক্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের থাকা না-থাকার বিষয়টি কংগ্রেসের ওপর ছেড়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। আগামী ৬০ দিনের মধ্যে কংগ্রেস যদি ইরানের ওপর নতুন অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি না করে, তাহলে পরমাণু চুক্তি টিকে থাকবে। চুক্তির শর্তানুযায়ী, ইরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের এই আগ্রাসী দৃষ্টিভঙ্গি আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর প্রতি তার ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির বহিঃপ্রকাশ। একই দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি, ট্রান্স-প্যাসিফিক পার্টনারশিপ (টিপিপি) আলোচনা থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন তিনি। এ ছাড়া নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট নিয়ে কানাডা ও মেক্সিকোর সঙ্গে নতুন আলোচনা করিয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের এই দৃষ্টিভঙ্গি তেহরানকে ক্ষুব্ধ করেছে। চুক্তির অন্যান্য অংশীদার যেনম- যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া, চীন ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে। এই চুক্তি থেকে অর্থনৈতিকভাবে সুবিধা পাচ্ছে দেশগুলো।
শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প চুক্তি বাতিলের হুমকি দেওয়ার পর ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, পরমাণু চুক্তি মেনে চলছে তেহরান এবং ট্রাম্পের অভিযোগ ভিত্তিহীন। তিনি বলেন, ‘বিদেশি শক্তির কাছে ইরানি জাতি কখনো মাথা নত করেনি এবং করবেও না।’

Share this content:

Back to top button