জাতিসংঘে ওবামার শেষ ভাষণ, সতর্ক করলেন মার্কিনিদের

এ বি এন এ : আমেরিকানদের সতর্ক করলেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট হিসেবে মঙ্গলবার তিনি শেষ ভাষণ দেন। এতে সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ ও জাতীয়তাবাদের বিষয়ে তিনি হুঁশিয়ার করে দিলেন মার্কিন ভোটারদের। এ সময় তিনি বর্তমান বিশ্বে যেসব জটিল সমস্যা রয়েছে সে দিকেই দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। বরাবরের মতোই তিনি এদিনও ছিলেন দৃপ্তকণ্ঠের বক্তা। আগামী ৮ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এতে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্প। তার নাম উল্লেখ না করেই তার বাণিজ্য, অভিবাসন, বহুত্ববাদ সহ তুলে ধরেন। নির্বাচনে যদি ‘আগ্রাসী জাতীয়তাবাদ’ অথবা ‘অশোধিত জনপ্রিয়তা’ বিজয়ী হয় তাহলে যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্বের জন্য যে ভবিষ্যত অপেক্ষা করছে তার একটি অন্ধকারময় চিত্র তুলে ধরেন বারাক ওবামা। ডনাল্ড ট্রাম্প তার নির্বাচনী প্রচারণায় মেক্সিকো সীমান্তে যে দেয়াল নির্মাণের কথা বলেছেন, সীমান্ত নিরাপত্তার কথা বলেছেন সে বিষয় তুলে ধরেন তিনি। ট্রাম্পের ওই প্রস্তাবের সমালোচনা করে ওবামা বলেন, একটি জাতি যদি দেয়াল দিয়ে চারদিক থেকে নিজেকে আবৃত করে তাহলে তার মধ্য দিয়ে সে শুধু নিজেকেই বন্দি করবে। এ সময় বারাক ওবামা পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ে গোলার আহ্বান জানান। শান্তির কথা বলেন, যেমনটা তিনি এর আগে জাতিসংঘের ভাষণে বলেছিলেন। সময় এবং মানবজাতি এমন একটি পর্যায়ে এসেছে যেখানে বার বার যুদ্ধ ও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হয়তো এটাই আমাদের পরিণতি। ওই ভাষণে ওবামা ঘোষণা করেন ৫০ টি দেশ এ বছর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর ৩ লাখ ৬০ হাজার শরণার্থীকে নেয়ার অঙ্গীকার করেছে। তিনি আরও বলেন, জার্মানি, কানাডা সহ বিশ্ব নেতারা গত বছরের চেয়ে দ্বিগুন শরণার্থী নিতে চেয়েছে। জাতিসংঘের হিসাবে যুদ্ধ অথবা নির্মমতার শিকার হয়ে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ মানুষ নিজ দেশ ছেড়ে শরণার্থী হয়েছে। এর মধ্যে ৬ বছরের যুদ্ধকবলিত সিরিয়ারই রয়েছে ৯০ লাখ মানুষ। বাকিরা যুদ্ধকবলিত অন্য দেশগুলো থেকে পালিয়েছে। এ প্রসঙ্গে বারাক ওবামা বলেন, আমরা আমাদের চোখ বন্ধ করে রাখতে পারি না। পারি না পিছু ফিরতে। এসব বাস্তুচ্যুত মানুষগুলোর জন্য যদি আমরা দরজা বন্ধ করে দিই তাহলে আমাদের গভীরে যে মূল্যবোধ রয়েছে তার সঙ্গে প্রতারণা করা হবে। ২০১৭ আর্থিক বছরে নতুন এক লাখ ১০ হাজার শরণার্থী নিতে রাজি হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে ১লা অক্টোবর থেকে।
Share this content: