জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

মসজিদে এসি বিস্ফোরণ : চিকিৎসাধীন ১২ জনের মৃত্যু

এবিএনএ : নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা বায়তুস সালাত জামে মসজিদে একসঙ্গে ছয়টি এসির বিস্ফোরণে দগ্ধদের মধ্যে ১২ জন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। তারা সবাই রাজধানীর শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজ শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ  শঙ্কর পাল। তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জে এসি বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া ৩৭ জনের মধ্যে ১২ জন মারা গেছে। বাকি ২৫ জন চিকিৎসাধীন রয়েছে।তাদের উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

মৃত ১২ জন হলেন- মসজিদের মুয়াজ্জিন মো. দেলোয়ার (৪৫), জুয়েল (০৭),  মো. জামাল (৪০), সাব্বির (১৮), জুবায়ের (১৮), হুমায়ুন কবীর (৭০), কুদ্দুস বেপারী (৭০), মো. ইব্রাহিম (৪২), মোস্তফা কামাল (৩৪), রিফাত (১৮), জোনায়েদ (২৮), (১২), রাশেদ (৩০)। মারা যাওয়া জোনায়েদ মসজিদটির মুয়াজ্জিন মো. দেলোয়ার হোসেনের তার সন্তান। তাদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লাঙ্গলকোট। স্বজনরা জানিয়েছেন, জোনায়েদ  দুই দিন আগে তার বাবার কাছে বেড়াতে এসেছিল। ঘটনার দিন বাবার সঙ্গে নামাজে পড়ছিল সে।

উল্লেখ্য, গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এশার নামাজের সময় এসি বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অর্ধ-শতাধিক মুসল্লি আহত হন। দুর্ঘটনায় মসজিদটির ইমাম আবদুল মালেক (৬০) এবং মুয়াজ্জিন দেলোয়ার হোসেনও (৫০) আহত হয়েছেন।

মসজিদে এসি বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ বিষয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স নারায়ণগঞ্জ অফিসের উপ-সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আরেফিন বলেন, ‘মসজিদের মেঝের নিচ দিয়ে গ্যাসের লাইন গেছে। পানি দেওয়ার সময় বুদ বুদ করে গ্যাস বের হচ্ছিল। বিস্ফোরণে অনেক মানুষ দগ্ধ হয়েছেন। তাদের স্থানীয় হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’ বিস্ফোরণে মসজিদটির ছয়টি এসি পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন, মসজিদের সামনের গ্যাসের লাইনের লিকেজ থেকে এই বিস্ফোরণ হয়ে থাকতে পারে।

Share this content:

Back to top button