
এবিএনএ: প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে জীবিত থাকাবস্থায় সিনেটর জন ম্যাককেইনের সুসম্পর্ক ছিল না। ট্রাম্পের অনেক নীতির প্রকাশ্যে সমালোচনা করেছেন তিনি। তার মৃত্যুর পর শেষকৃত্যানুষ্ঠানেও ট্রাম্পের সমালোচনা হয়েছে। নাম উচ্চারণ না করে সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও ম্যাককেইনের মেয়ে তাকে বাক্যবাণে বিঁধেছেন। শনিবার ওয়াশিংটন ডিসির ন্যাশনাল ক্যাথেড্রালে অনুষ্ঠানে শেষকৃত্যানুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে বারাক ওবামা রাজনীতিতে অপবাদ ও ভুয়া বিতর্কের উপস্থিতির নিন্দা জানান। তিনি বলেন, আমাদের রাজনীতি, জন-জীবন, পাবলিক ডিসকোর্সের অনেকাংশেই অপমান, বানোয়াট বিতর্ক ও কৃত্রিমভাবে ক্ষোভ নির্মাণ করতে দেখা যায়। ম্যাককেইন আমাদেরকে এর ঊর্ধ্বে ওঠার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় অনেকবারই ম্যাককেইনের সঙ্গে আমার একান্ত আলাপ হয়েছে। আমাদের মতভিন্নতার বিষয়টি কখনো বাইরে প্রকাশ পায়নি। প্রকৃতপক্ষে আমরা একই টিমের ছিলাম। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, জর্জ ডব্লিউ বুশও স্মরণ করেন ম্যাককেইনকে। মার্কিন রাজনীতিতে তার ভূমিকার জন্য উচ্চ প্রশংসা করেন। ম্যককেইনের মেয়ে মেগান বলেন, এক মার্কিন মহৎ ব্যক্তিত্বের মৃত্যুতে শোক জানাতে আমরা এখানে এসেছি। জন ম্যাককেইনের আমেরিকার আবারো মহান হওয়ার দরকার নেই। কারণ আমেরিকা সব সময়ই মহান। আমরা এমন এক সময়ে বসবাস করছি যখন কোনো নেতা তার ত্রুটি বা ব্যর্থতা স্বীকার করতে রাজি নন। আমরা এর ব্যতিক্রম এবং আমাদের এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে। বাবার শেষকৃত্যে ভাইবোনদের সঙ্গে ছিলেন ম্যাককেইনের পালিত বাংলাদেশি কন্যা ব্রিজিত ম্যাককেইনও। প্রসঙ্গত, ম্যাককেইন মৃত্যুর আগে ইচ্ছা প্রকাশ করে গিয়েছিলেন যেন ট্রাম্প তার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে না থাকেন। এ কারণে ট্রাম্প শেষকৃত্যে যোগ দেননি। ম্যাককেইনের শেষ বিদায়ে ওয়াশিংটন যখন শোকার্ত তখন তিনি গলফ খেলছিলেন ভার্জিনিয়ায় নিজের অবকাশ যাপন কেন্দ্রে। সেখান থেকে টুইট করেছেন ট্রাম্প। ম্যাককেইনকে নিয়ে নয়, তিনি টুইট করেন নাফটা নিয়ে। তবে শেষ পর্যন্ত শেষকৃত্যে না যাওয়ায় এবং দাম্ভিকতা দেখানোর কারণে টুইটারেও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রাম্প।
Share this content: