এবিএনএ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমরা ব্যবসা বাণিজ্য করতে আসিনি, মানুষের সেবা করতে এসেছি। আমার মাথায় একটাই চিন্তা বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন করা।
রোববার বগুড়ার সান্তাহার স্টেডিয়ামে এক জনসভায় প্রধান অতিথির ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যখন নৌকা মার্কা জয়ী হয়, তখন গোলাভরা ধান, পুকুরভরা মাছ, খেয়েপরে মানুষ সুখে থাকে।কিন্তু যখন ধানের শীষ ক্ষমতায় ছিল তখন তো গোলাভরা ধান ছিল না। কেন ছিল না? বিষয়টা খুবই পরিষ্কার-ওই বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসে শুধু নিজেরা খাবে, নিজেরা পরবে, নিজেরা বিলাসিতা করবে বলে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার মাটিতে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের কোনো স্থান হবে না। আমরা শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ইসলাম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ভ্রাতৃত্বের ধর্ম। সৌহার্দ্যের ধর্ম। ইসলাম মানুষ খুন করার কথা বলে না। কাজেই এই দেশে যাতে জঙ্গিবাদের স্থান না হয় সেজন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। যেন আমরা একটা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশে উন্নয়ন করতে পারি।
শেখ হাসিনা বলেন, গণতান্ত্রিক পরিবেশ আছে বলেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতি হচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। প্রত্যেক উপজেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত পাকা রাস্তা হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে (মডেল)মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠিত করে দেব। ইতিমধ্যেই আমরা মসজিদের ডিজাইন আমরা দেখেছি।তার কাজও আমরা দ্রুত শুরু করব।
তিনি বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। শান্তিপূর্ণভাবেই দেশবাসী বসবাস করবে। ইসলামের মান-মর্যাদা যেন উন্নত হয় সেটাই আমরা নিশ্চিত করতে চাই। সেভাবে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, যখন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় ছিল তখন বাজেটের সময় আমার গোপালগঞ্জের টাকা কেটে নিত। এক ফোঁটাও উন্নয়ন করে নাই। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ করি জনগণের জন্য। এখানে কোনও এলাকা আমরা সেটা দেখি না। সকল এলাকায় আমরা সুষম উন্নয়নে বিশ্বাসী। যে কারণে আপনারা দেখেন, বগুড়ায় যে উন্নয়ন হয়েছে তা সবই তো আওয়ামী লীগ আমলে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রত্যেক জেলায় জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় করে দেব। আমরা যে ওয়াদা দিয়েছিলাম তা শুরু হয়ে গিয়েছে। ধীরে ধীরে সব করে দেব। যেসব উপজেলায় সরকারি স্কুল- কলেজ সেখানে আমরা করে দিব।