মেয়ের দাবি হয়রানির শিকার, পুলিশ বলছে বানোয়াট

এবিএনএ : অল্পবয়সী কোনো মেয়ের হিজাব কেটে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা ঘটেনি বলে দাবি করেছে কানাডার পুলিশ। তবে গত শুক্রবার বিভিন্ন গণমাধ্যমেরর খবরে বলা হয়েছে, স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে কানাডার টরেন্টো শহরে ১১ বছর বয়সী মেয়ের হিজাবের একাংশ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্ত। ওই মেয়ের পরিবারের লোকজনের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছিল, দু’বারের আক্রমণে হিজাবের একাংশ কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্ত। দুর্বৃত্ত চলে গেলেও বাড়ি ফেরার পর মেয়ের ভয় কাটছে না বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
এ ব্যাপারে কালের কণ্ঠ অনলাইনেও একটি সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। ‘হিজাব কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্ত, ভয় কাটছে না মেয়ের’ শিরোনামে সংবাদটি প্রকাশ করা হয়। আলজাজিরার ওই প্রতিবেদনে মেয়েটির ছবিও প্রকাশ করা হয়েছিল। তবে মঙ্গলবার এসে কানাডার পুলিশ বলছে, তারা তদন্ত করে এ ধরনের কিছু খুঁজে পায়নি। সে কারণে এরকম অভিযোগকে ভিত্তিহীন হিসেবে বিবেচনা করছে পুলিশ।
টরোন্টো পুলিশের মুখপাত্র মার্ক পুগাশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, আমরা তথ্যপ্রমাণ খুঁজে দেখেছি। তবে সব বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্তে আসা হয়েছে, ওই রকম ঘটনা আদৌ ঘটেনি। পুরোটাই বানোয়াট। তিনি আরো বলেন, আমরা এটা ভেবে সন্তুষ্ট যে, অন্তত ঘটনাটি বাস্তবে ঘটেনি। আমরা চায় ভবিষ্যতেও যেন এ ধরনের ঘটনা না ঘটে। তবে ১১ বছর বয়সী ওই মেয়ের পরিবারের কারো বক্তব্য রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে নেই। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন ষষ্ঠ শ্রেণির খাওলাহ নোমান। হঠাৎ করেই একজন ব্যক্তি তাদের সামসে দাঁড়িয়ে নোমানের হিজাবের একাংশ কেটে নেওয়ার চেষ্টা করেন।
ওই ব্যক্তির হাত থেকে ছাড়া পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন নোমান। এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর ওই ব্যক্তি আরেক দফায় এসে তাদের পথ রোধ করে হিজাবের একাংশ কেটে নেন। এ ঘটনায় নোমান ব্যাপক ভয় পান। তিনি জানান, ওই ব্যক্তির ভঙ্গি দেখে আমি ভয় পেয়ে যায়। লোকটার আচরণ মোটেও সুবিধার মনে হচ্ছিল না। দুঃখজনক ব্যাপার হলো ওই ব্যক্তি আমার হিজাব দু’বার এসে কেটে নিয়ে গেছে। নোমানের বর্ণনা অনুযায়ী ওই ব্যক্তির বয়স ২০ বছর হতে পারে। শরীরের গড়নের বর্ণনা শুনে পুলিশ সে সময় ধারণা করেছিল, এশিয়ার কোনো ব্যক্তির কাজ হতে পারে সেটা।
Share this content: