সুস্থ থাকতে সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করুন

এবিএনএ : আমাদের প্রতিদিনকার জীবনে কাজের চাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। আর এই কাজের চাপে সারা দিনে খাওয়া হয় না তেমন। আবার অনেক সময় অফিস থেকে ফিরতে হয়ে যায় অনেক রাত। তাই খেতে খেতেও অনেক রাত হয়ে যায়। এটাই যদি আপনার অভ্যাস হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে কিন্তু ভোগান্তি আছে কপালে।
প্রতিদিন অসময়ে, বিশেষত গভীর রাতে খাওয়াটা মোটেই ভাল কথা নয়। এই অভ্যাস যদি দীর্ঘমেয়াদী হয় তাহলে আপনার হজম শক্তিতে চিরস্থায়ী খারাপ প্রভাব পড়তে বাধ্য। তাই এড়িয়ে চলুন এই বদভ্যাস। কীভাবে এড়াবেন, দেখে নিন তার জন্য রইল কিছু পরামর্শ-
১। বেশি রাতে পেট ভরে খাওয়াটা কাজের কথা নয়। সারাদিন যদি অল্প অল্প করে পেটে কিছু পড়তে থাকে, তাহলেই আপনার কাজ শেষ হওয়ার পরে বেশি রাতে ক্ষুধা পাবে না। যখন নৈশভোজ সারার কথা, তখনই খাওয়ার চেষ্টা করুন। তার আগে বা পরে অল্প অল্প করে খেয়ে ক্ষুধা মেটাতেও পারেন।
২। সারাদিন আপনার খাওয়া দাওয়ার সময় নির্দিষ্ট না থাকলেও একটা রুটিন করা দরকার। মানে ঠিক কখন কখন আপনি খাওয়ার সময় পেতে পারেন, তার একটা ধারণা করে নিন। সেই অনুপাতে খাওয়া দাওয়া করুন।
৩। একবারে বেশি না খেয়ে, অল্প সময়ের ব্যবধানে একাধিক বার খাওয়াদাওয়া করুন। অল্প করে খান, কিন্তু একাধিকবার খান। সাধারণত, আমরা দিনে চার থেকে পাঁচ বার খাই। সেটাই সাত–আট বারের ধাপে ভেঙে নিন।
৪। সঙ্গে খাবার রাখুন। ব্যাগে শুকনো খাবার রাখা কিন্তু আপনার কর্তব্য। বাসে বা গাড়িতে যেতে যেতে যে সামান্য সময়টুকু পাওয়া যায়, তখনই যদি খেয়ে নেন আপনি, তাহলে পেটও ভরে, সময়ও নষ্ট হয় না। তবে এর জন্য নিজের কাছে খাবার রাখা দরকার।
৫। ফাস্টফুড এড়িয়ে চলুন। রাস্তার ধারে এগরোল, কিংবা চাউমিন মাঝেমধ্যে খাওয়া ভাল। কিন্তু খিদে পেলেই সময় বাঁচাতে ফাস্ট ফুড খাওয়া কাজের কথা নয়। এর জন্যই হাতের কাছে ফল, ভাল মানের কেক রাখা দরকার। ক্ষুধা ফেলে ফাস্ট ফুডের বদলে সেগুলি খেলেই হয়।
Share this content: