এ বি এন এ : চলতি বছর চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন জাপানের ইয়োশিনোরি ওশুমি। প্রাণীকোষ কীভাবে ভেঙে পড়ে এবং আবারও নিজের উপাদানকে পুনঃপ্রক্রিয়াজাত করে, সেই গবেষণার জন্য সোমবার সুইডেনের কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট ইয়োশিনোরি ওশুমির নাম ঘোষণা করে। নোবেল কমিটি বলছে, ইয়োশিনোরি ওশুমির গবেষণা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি ঠিক কোন জটিলতার কারণে ক্যান্সার থেকে শুরু করে পারকিনসনস ডিজিজের মত জটিল রোগ হয়, তা বুঝতে সহায়তা করবে। ১৯৪৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি জাপানের ফুকুওয়কায় জন্মগ্রহণকারী ওসুমি টোকিও ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির প্রফেসর। গোলকৃমি ও ম্যালেরিয়ার পরজীবীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য গত বছর এই পুরস্কার পেয়েছিলেন তিন বিজ্ঞানী। তারা হলেন আইরিশ বংশোদ্ভূত উইলিয়াম ক্যাম্পবেল, জাপানের সোতোশি ওমুরা ও চীনের ইউইউ তু। প্রতি বছর পৃথিবীর বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সফল এবং অনন্য সাধারণ গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং মানবকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য মোট ছয়টি ক্ষেত্রে পুরস্কার প্রদান করা হয়। এর মধ্যে চিকিৎসাশাস্ত্র, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, অর্থনীতি, সাহিত্যের পুরস্কার প্রদান করো হয় সুইডেনের স্টকহোম থেকে। আর শান্তিতে পুরস্কার প্রদান করা হয় নরওয়ের অসলো থেকে। আগামীকাল মঙ্গলবার পদার্থ, বুধবার রসায়ন, শুক্রবার শান্তি এবং আগামী ১০ অক্টোবর অর্থনীতিতে এবারের নোবেল বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। তবে সাহিত্যের জন্য নোবেল পুরস্কারের তারিখ এখনও ঘোষণা করা হয়নি।