
এবিএনএ : কোনো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত পাঠানো কানাডার বিদ্যমান আইন সমর্থন করে না বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিয়োজিত দেশটির হাইকমিশনার বেনোয়া প্রিফন্টেইন। তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি নূর চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ কানাডার আদালতে মামলা করেছে। এই বিষয়ে এখন আদালত সিদ্ধান্ত নেবেন।’ আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিস (বিস) মিলনায়তনে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের সংগঠন ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ডিক্যাব সভাপতি রাহীদ এজাজ ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম বক্তব্য দেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত খুনি নূর চৌধুরীকে কানাডা সরকার ফেরত দেবে কি না-এমন প্রশ্নের উত্তরে কানাডার হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার তাকে ফেরত আনার জন্য চেষ্টা করছে। তবে আমি বলতে পারি, কোনো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে কানাডা ফেরত পাঠায় না। ঐতিহাসিকভাবেই কানাডার আইন অনুযায়ী এমন আসামি ফেরত পাঠানো হয় না।’
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন খুব কঠিন হবে। এই সমস্যা সহজেই মীমাংসা হবে না। মিয়ানমার যাতে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয় সেটা নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে কানাডা।’ কানাডার হাইকমিশনার বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে বাংলাদেশের পাশে আছে কানাডা। এ ছাড়া ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য কানাডা সহায়তা দিয়ে আসছে। ২০১৭ সালে এই সংকটের শুরু থেকেই কানাডা সরকার ৮৬ দশমিক ৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সহায়তা দিয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের ওপর চাপ সৃষ্টিতে বিশ্বে ঐকমত্য তৈরিতে কাজ করছে কানাডা।’
বেনোয়ে প্রিফন্টেইন বলেন, ‘কানাডায় বাংলাদেশি শিাক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ রয়েছে। সেখানে বাংলাদেশি শিাক্ষার্থীও বাড়ছে। ২০১৮ সালে কানাডায় সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি শিাক্ষার্থী পড়তে গেছেন।’ এক প্রশ্নের উত্তরে কানাডার হাইকমিশনার বলেন, ‘বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কানাডার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। সেটা সরকার বা বিরোধীদল উভয়েরই। কোনো রাজনৈতিক দলকে কানাডা সরকার সন্ত্রাসী সংগঠন বলেনি।’
Share this content: