ভারত নয় চীনই বেশি বাড়াবাড়ি করছে, দাবি আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়ার

এবিএনএ : সম্প্রতি ডোকলাম নিয়ে ভারতকে একের পর হুমকি দিচ্ছে চীন। একের পর এক শর্ত রাখছে চীন। আর এতে করে ভারত-চীন সম্পর্ক ক্রমশই উত্তপ্ত হচ্ছে। একদিকে চীনের ডোকালাম নিয়ে কড়া অবস্থা অন্যদিকে বিতর্কিত দক্ষিণ চীন সাগর, এই দুইয়ের মাঝেই চীনের আগ্রাসী মনোভাব দেখে হুঁশিয়ারি দিল আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়া। একদিকে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যেখানে চীনের সেনাদের জমায়েত নিয়ে সরব পেন্টাগন, অন্যদিকে সেখানে দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের একাধিপত্য স্থাপনের রণকৌশলের বিরোধিতা করে।
মার্কিন বিমানবাহিনীর জেনারেল পল সেলভা জানিয়েছেন, চীনের সেনাদের আধুনিকীকরণ এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে মার্কিন সৈন্যদের কাছে চ্যালেঞ্জ হতে পারে। তিনি আরো জানান, নিজেদের পরিধি বিস্তারে নিজেদের অর্থনৈতিক সুবিধাকেও কাজে লাগানোর তৎপরতা দেখিয়েছে। অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী জুলি বিশপের গলায়ও দক্ষিণ চীন সাগর নিয়ে কিছুটা এমনই সুর শোনা যায়।
এদিকে বিতর্কিত ডোকালাম এলাকা নিয়ে ভারত-চীনের মধ্যে যে সমস্যা চলছে, তা নিয়ে আমেরিকার পক্ষ থেকে মনে করা হয়েছে যে, ডোকালামে ভারতীয়রা বেশি শক্তিশালী। আমেরিকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, শক্তিশালী দেশ হিসেবে ভারতকে সমীহ করে চলা উচিৎ চীনের।
এদিকে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব এস জয়শঙ্কর বলেছেন, এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সীমান্তে চীনের সঙ্গে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, সেটি দূরীকরণে ভারত কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। সীমান্তে চীনের সেনারা এবং ভারতের সেনারা নিজ নিজ দেশের সীমান্তে অবস্থান করছে। কিন্ত চীন এটির ভুল ব্যাখ্যা করে ঝামেলা পাকাচ্ছে। তাই ভারত নিজেদের অবস্থান পরিস্কার করার চেষ্টা করছে।
Share this content: