
এ বি এন এ : বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বাপাউবো) অর্থ এখন আর পানির নিচে চুরি হয় না, ডাঙ্গায় চুরি হয় বলে মন্তব্য করেছেন পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থা (ওয়ারপো) সম্মেলন কক্ষে ‘ইনস্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং (আইডব্লিউএম) আয়োজিত ‘বন্যা ও নদী ভাঙন’ শীর্ষক সেমিনারে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, বলা হয় পাউবোর টাকা পানিতে যায়। আমি বলবো, পানির নিচে কিন্তু আর চুরি হয় না। যেটা চুরি হয়, সেটা হয় ডাঙ্গায়। মাটির কাজে চুরি হয়, ড্যাম্পিং কাজে টাকা চুরি হয় না। পানির নিচের কাজে চুরি এখন বন্ধ, আস্তে আস্তে ওপরে যে কাজে চুরি হয় তাও বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
নদী ভাঙন রোধে ড্রেজিংয়ের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ করতে হলে নদী ড্রেজিং করতে হবে, তা না হলে বন্যা নিয়ন্ত্রণে ভালো ফল পাওয়া যাবে না। পাউবো সারাদেশের নদীগুলোকে ৯টি ভাগে ভাগ করে কাজ করছে।
তিনি বলেন, কিছু দেশ আমাদের নদী থেকে বালু নিয়ে যেতে চায়। এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। আমাদের নদীগুলোতে প্রত্যেক বছর ১.৫ বিলিয়ন টন বালু যায়। এ বালু দেশের কাজে লাগাতে পারলে চর ওঠা বন্ধ হবে।
মন্ত্রী বলেন, ভাঙনের কারণে প্রতিবছর ৫ থেকে ৬ হাজার একর জমি নদী গর্ভে বিলীন হয়, ঘর হারা হয় ৫০ হাজারেরও বেশি মানুষ। নদী ভাঙন এখন একটি ক্যান্সার। তাই জোর দেওয়া হচ্ছে নদী ভাঙন রোধে।
ফারাক্কা ব্যারেজের কারণে বন্যা হয়নি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ফারাক্কা ব্যারেজের গেট খুলে দেওয়ার কারণে বাংলাদেশে বন্যা হয়েছে বিষয়টি সঠিক নয়। বন্যা হয়েছে নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায়। বাংলাদেশিরা ফারাক্কা ব্যারেজ চায় না, এ ফারাক্কার কারণে বাংলাদেশে বন্যা হয় না।
সেমিনারে আইডব্লিউএময়ের নির্বাহী পরিচালক ড. এম মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ওয়ারপোর মহাপরিচালক সারাফত হোসেন খান।
বাংলাদেশে ২০১৬ সালে ঘটিত বন্যার ওপর কারিগরি প্রতিবেদন প্রকাশ করেন, আইডব্লিউএম’র বন্যা ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক সোহেল মাসুদ। এ ছাড়া নদী ভাঙন ও ব্যবস্থাপনার ওপর প্রতিবেদন প্রকাশ করেন নদী প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক মীর মোস্তফা কামাল।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খান, বিআইডব্লিউটিএম’র চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক প্রমুখ।
Share this content: