
এবিএনএ : আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমেরিকার মতো হবে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, বারাক ওবামা (সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট) যেমন ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন দিয়েছেন, তেমনি আমাদের দেশেও ক্ষমতাসীন দলের অধীনেই নিবার্চন হবে। আজ শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো আমাদের দেশেও ক্ষমতাসীন দলের অধীনেই নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশনে যাদের রেজিস্ট্রেশন আছে, তারা সকলেই অংশগ্রহণ করুক।’ তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমরা যখন ছাত্র রাজনীতি করতাম, তখন আমাদের কাছে আদর্শ ছিল। শিক্ষকরাও আমাদের অত্যন্ত স্নেহ করতেন। ব্যক্তি জীবনে আমরা কে কোন সংগঠন করতাম তা মুখ্য ছিল না। আমরা একে অন্যকে শ্রদ্ধা করতাম, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল।’ এ সময় তিনি ইকবাল হল (বর্তমান জহুরুল হক হল) নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন। বর্ণনা করেন ৬৯’র উত্তাল দিনগুলোর কথা। লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে কীভাবে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছে তা তুলে ধরেন।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হলের সাবেক ছাত্র হিসেবে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ইকবাল হল। সারা দেশের আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছে এই হল। এমনকি ৭১ সালে দেশের প্রথম পতাকা উত্তোলনে এই হলের ছাত্রদের অগ্রণী ভূমিকা রয়েছে। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘আমি আর নাহিদ ভাই ছাত্র ইউনিয়ন করতাম। আর তোফায়েল ভাই করতেন ছাত্রলীগ। কিন্তু আমাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল অনেক গভীর ও বন্ধুত্বপূর্ণ। আমি যত সময় ইকবাল হলে কাটিয়েছি তা ছিল আমার জীবনের উজ্জ্বলতম সময়। এ হলে আমার অসংখ্য স্মৃতি রয়েছে।’
১৯৫৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই হলের নাম ছিল ইকবাল হল। পরে পরিবর্তিত হয়ে হয় সার্জেন্ট জহুরুল হক হল হয়। বাঙালি জাতীয়তাবাদী আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে আছে এই হল। ৬০ বছর পর ‘জহুরুল হক হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন’ নামে প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠনের যাত্রা শুরু হয় গত বছরের ২৯ জুলাই। র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদকে আহ্বায়ক ও যুবলীগের প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলুকে সদস্য সচিব করে আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। পরে বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে ১৮ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটির এক বৈঠকে পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
Share this content: