
এবিএনএ : নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেট অফিসের ডেপুটি কনসাল জেনারেল মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গৃহকর্মীকে নির্যাতন ও মজুরি থেকে বঞ্চিত করার অভিযোগে স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার নিউইয়র্কের জামাইকা এলাকায় বসবাসরত শাহেদুলকে তাঁর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গতকাল অফিস সময়ের পর নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটে ফোন করে কাউকে পাওয়া যায়নি। শ্রমিক পাচার ও নির্যাতনের অভিযোগে শাহেদুল অভিযুক্ত হয়েছেন।
নিউইয়র্ক সিটির এক সরকারি আইনজীবী বলেন, শ্রমিক পাচার ও বিনা মজুরিতে কাজে বাধ্য করতে নির্যাতনের অভিযোগে গতকাল শাহেদুলকে অভিযুক্ত করা হয়। এক বিবৃতিতে কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি রিচার্ড ব্রাউন বলেন, শাহেদুলের পূর্ণ কূটনৈতিক দায়মুক্তি নেই। তিনি কুইন্স সুপ্রিম কোর্টে হাজির হলে তাঁকে তাঁর পাসপোর্ট জমা দিতে আদেশ দেওয়া হয়। পরে ৫০ হাজার ডলারের বন্ড অথবা নগদ ২৫ হাজার ডলারে শাহেদুলের জামিন ধার্য করেন আদালত। দোষী সাব্যস্ত হলে শাহেদুলের সর্বোচ্চ ১৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে।
অভিযোগ অনুযায়ী, গৃহের কাজে সহায়তার জন্য মো. আমিন নামের এক ব্যক্তিকে ২০১২ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে নিউইয়র্কে নেন শাহেদুল। যুক্তরাষ্ট্রে আসার পরই আমিনের পাসপোর্ট নিয়ে নেওয়া হয়। আমিনকে দিয়ে দিনে ১৮ ঘণ্টা কাজ করানো হতো। তাঁকে কোনো মজুরি দেওয়া হতো না। তাঁকে হুমকি দেওয়া হতো। তিনি মারধরেরও শিকার হয়েছেন। ২০১৬ সালে শাহেদুলের বাসা থেকে আমিন পালিয়ে যান। ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে শাহেদুলের বিরুদ্ধে আমিন অভিযোগ এনেছেন বলে তাঁরা মনে করছেন। আমিনের অভিযোগ ভিত্তিহীন।
জানতে চাইলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন অনুবিভাগ) মো. নাজমুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার সকালে বলেন, শাহেদুলের গৃহপরিচারক কাজ ছেড়ে চলে গেছেন মর্মে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছিল। তারপরও শাহেদুলের বিরুদ্ধ দেশটির কর্তৃপক্ষ কেন ব্যবস্থা নিল, তা জানতে ওয়াশিংটন দূতাবাসের মাধ্যমে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে যোগযোগ করা হবে।
Share this content: