‘নগ্নতা’কে স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো!

এবিএনএ : জাপানের ছোট্ট দ্বীপ ওকিনোশিমা। বসবাসের অধিকার মেলে শুধুমাত্র পুরুষদের। তবে এর বড় বিচিত্র বৈশিষ্টটি হল; এখানে পুরুষদের সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে গোসল ও পবিত্রতা অর্জন করে দ্বীপে পা রাখতে হয়।
আর ঠিক সে কারণেই মহিলাদের প্রবেশাধিকার নেই এই দ্বীপে। তবে কি এই নগ্নতাকেই শেষপর্যন্ত স্বীকৃতি দিল ইউনেস্কো! তিনশো বছর ধরে শুধুমাত্র পুরুষদের এই দ্বীপটিকে সম্প্রতি হেরিটেজ সাইট হিসাবে ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো।
খবরে জানা যায়, নাবিকদের জীবনের সুরক্ষার জন্য এই দ্বীপেরই রয়েছে ওকিতসু উপাসনালয় যেখানে বিশেষ প্রর্থনা করা হয়। আর এই প্রর্থনা করা হয় বছরে একদিন, ২৭ মে। শুধুমাত্র এই দিন দ্বীপটিতে যাওয়ার সুযোগ পান পুরুষ পর্যটকরা। সংখ্যাটা সর্বোচ্চ ২০০। তার বেশি নয়।
এই একটা দিনই শুধুমাত্র দু’ঘণ্টার অনুষ্ঠানে থাকার অনুমতি মেলে পর্যটকদের। সেদিন জামা–কাপড় খুলে সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে গোসল সেরে শুদ্ধ হয়ে ওকিনোশিমা দ্বীপে পা রাখতে হয়।
ওই দ্বীপের ছবি তোলা পর্যটকদের বারণ। কোনও বাসিন্দার সঙ্গে কোনওরকম কথা বলাও সম্ভব নয়। কোনও পর্যটক এই নিয়ম ভাঙলে হাজতবাস অনিবার্য! তবে, এদিকে ভ্রমণার্থীদের ওই দ্বীপে যাওয়ার প্রবেশাধিকার বাড়ানোর জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে ইউনেস্কো।
দ্বীপ ছেড়ে যাওয়ার সময় পর্যটকদের সেখান থেকে তাদের কোনও স্মারক নিয়ে যাওয়ার অনুমতিও পান না। এমন কি ওই দ্বীপে যাওয়ার পর কী ঘটেছে, সেটাও তারা অন্য কাউকে বলতে পারেন না।
উপাসনালয়টি নির্মাণের অনেক আগে থেকেই সমুদ্রগামী জাহাজের নিরাপত্তার জন্য এবং কোরিয়া ও চীনের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য সেখানে প্রার্থনা করার রীতি ছিল বলে জানা যায়।
এছাড়া, ঐ দ্বীপে বিদেশ থেকে আনা হাজার হাজার শিল্পসামগ্রী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে কোরিয়া উপদ্বীপ থেকে আনা বহু সোনার আংটিও রয়েছে।
Share this content: