
এবিএনএ: প্রায় তিন দশক পর হতে যাওয়া ডাকসু নির্বাচন ভবিষ্যতে নিয়মিতভাবে আয়োজনে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। বলেন, ‘ডাকসু নির্বাচন যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ‘ক্যালেন্ডার ইভেন্টে’ পরিণত হয়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকল মহলের আন্তরিক সদিচ্ছা ও সদয় সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’ ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে সোমবার শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন প্যানেল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য একথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করা হয়।
ডাকসুর ২৫টি পদের বিপরীতে লড়ছেন মোট ২২৯ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২১জন। তাদের সঙ্গে ১৪ জন সাধারণ সম্পাদক (জিএস) এবং ১৩ জন সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে লড়বেন। মোট ভোটার ৪৩ হাজার ১৭৩ জন।আখতারুজ্জামান বলেন, ‘কোনো সন্দেহ নেই, এই দীর্ঘ সময়ে বিশ্ববিদ্যালয় তথা জাতি যত সংখ্যক অধিকতর দক্ষ ও নেতৃত্বের গুণাবলি সমৃদ্ধ ব্যক্তিত্ব পেতে পারত তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আশা করি, ভবিষ্যতে এ বঞ্চনার সংস্কৃতি থেকে আমরা বের হতে সক্ষম হব।’
ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের যে ‘সহাবস্থান’ তৈরি হয়েছে নির্বাচনের সময়ও সেটি ধরে রাখার আহ্বান জানান উপাচার্য । বলেন, ‘ইতোমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল স্তরের শিক্ষার্থীসহ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রী ও সংগঠনসমূহের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে থেকে পারস্পরিক আস্থা ও শ্রদ্ধাশীলতায় গণতান্ত্রিক আচরণের যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, সেজন্য আমাদের প্রিয় ছাত্র-ছাত্রীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।’
উপাচার্য আখতারুজ্জামান বলেন, ‘দল-মত নির্বিশেষে বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী প্রার্থী হিসেবে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। তারা অবাধে নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। নির্বাচনী সকল কাজ সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে যাচ্ছে।’ ‘এই নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আচরণবিধি যথাযথভাবে মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমি আহ্বান জানাই।’ ‘শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান’ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চর্চা যেন সবসময় অব্যাহত থাকে শিক্ষার্থীদের প্রতি সে প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন উপাচার্য। অনুষ্ঠানে উপ উপাচার্য (শিক্ষা)নাসরীন আহমাদ, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ মো. কামাল উদ্দীন, রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান, প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা এস এম মাহফুজুর রহমান এবং রিটার্নিং কর্মকর্তাদের পাশাপাশি সব হলের প্রাধ্যক্ষ, আবাসিক ও সহকারী আবাসিক শিক্ষক, প্রক্টর ও সহকারী প্রক্টররা উপস্থিত ছিলেন।
Share this content: