আমেরিকালিড নিউজ

জাতিসংঘে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ‘ইউনেস্কো’: যুক্তরাষ্ট্র

এবিএনএ: ইউনেস্কোকে জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠনগুলোর মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে উল্লেখ করেছে যু্ক্তরাষ্ট্র। জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির বিদায়ী রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালী এ অভিযোগ করেন। জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন ইউনেস্কো থেকে যু্ক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের বের হয়ে যাওয়ার একদিন পরই এমন মন্তব্য করলেন নিকি হ্যালি। এক টুইটবার্তায় নিকি বলেন, জাতিসংঘের সংস্থাগুলির মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত ও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট ইউনেস্কো। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সংস্থা থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়া মৌলিক।

২০১৭ সালে ইউনেস্কোর সদস্যপদ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নাম প্রত্যাহার করে নেয়ার বিষয়ে নোটিশ দিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এর কারণ হিসেবে ইসরায়েল বিদ্বেষের অভিযোগ তোলা হয়।  সেই নোটিশ অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (১ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে এই ঘোষণা কার্যকর হয়েছে৷ ২০১৭ সালে ঘোষণা দিলেও ইউনেস্কোর নিয়ম অনুযায়ী, কোনো সদস্য পদ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিলে সে ঘোষণা কার্যকর হয় পরের বছরের শেষে। ফলে, না চাইলেও আরো এক বছর ইউনেস্কোর সদস্য থাকতে হয় ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রকে।

২০১৮ সাল শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইউনেস্কোর সঙ্গে ইসরায়েলের সম্পর্কও শেষ হয়ে গেল। তাদের সঙ্গে ইসরায়েল বিরোধিতার অভিযোগ তুলে ইউনেস্কো ছাড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বৈষম্যের নীতি গ্রহণ করেছে ইউনেস্কো। ইসরায়েল রাষ্ট্র ও ইহুদিদের ঘৃণা করে, এমন লোকরা ইতিহাস বিকৃতিতে সংস্থাটিকে কাজে লাগাচ্ছে।’

জাতিসংঘের সংস্থাগুলোর মধ্যে ইউনেস্কোই প্রথম ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যের মার্যাদা দেয়, যা নিয়ে বিরোধের সূত্রপাত। ফিলিস্তিনকে পূর্ণ সদস্যের মর্যাদা দেওয়ার পরপরই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা প্রশাসন সংস্থাটিকে তাদের বার্ষিক চাঁদা দেওয়া বন্ধ করে দেয়, যা সংস্থাটির মোট বাজেটের প্রায় ২২ শতাংশ। ইসরায়েলও নিজের প্রতিশ্রুত অর্থ দেওয়া বন্ধ করে। যে কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের সদস্য পদ প্রত্যাহার আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হলেও ইউনেস্কোর অর্থায়নে তা প্রভাব ফেলবে না। যদিও ২০১১ সালের পর থেকেই ইউনেস্কো আর্থিক সংকটে রয়েছে।

Share this content:

Related Articles

Back to top button