জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

চীনের বক্তব্যের পর যে প্রতিক্রিয়া দেখাল বাংলাদেশ

এবিএনএ: যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশকে নিয়ে চীনের পক্ষ থেকে যে বক্তব্য এসেছে, তার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে সরকার। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, সার্বভৌম অধিকারের প্রশ্নে সবাই সম্মান দেখাবে, সেটাই বাংলাদেশ চায়। অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার প্রভৃতি ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ক্রমাগত ঢাকাকে চাপ দিচ্ছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ২০ ঘণ্টা জার্নি করে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র যাবেন না। অন্য মহাদেশের প্রতি মনযোগী হবেন। যারা স্যাংশন দেবে তাদের কাছ থেকে কিছু কেনা হবে না। এদিকে বিশ্বের অর্থনৈতিক ও সামরিক ক্ষমতাধর দেশটির বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার মন্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছে চীন। দেশটি বলেছে, শেখ হাসিনার এমন মন্তব্য বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মনের কথা।

বুধবার বেইজিংয়ে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায়, অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক নীতি সমুন্নত রাখতে এবং নিজেদের বাস্তবতার সঙ্গে মানানসই একটি উন্নয়নের পথ অনুসরণের প্রশ্নে বাংলাদেশকে আমরা দৃঢ়ভাবে সমর্থন করি এবং চীন সার্বিক সহায়তা করবে। সব ধরনের আধিপত্যবাদ ও শক্তির রাজনীতির বিরুদ্ধে বাংলাদেশসহ অন্য সব দেশের সঙ্গে কাজ করবে চীন।

চীনের ওই বক্তব্য গণমাধ্যমে আসার পরদিন বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ফেসবুক পেজে এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ সরকার মনে করিয়ে দিয়েছে, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’– এটাই বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূলমন্ত্র।

বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক কিছু মন্তব্য সম্পর্কে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্য সরকারের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলতে চায়, যেকোনো আত্মমর্যাদাশীল দেশের মতো বাংলাদেশও নিজেদের অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, সার্বভৌমত্বের চেতনার ভিত্তিতে সে বিষয়ে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে।এতে বলা হয়, দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া রূপকল্প ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্য বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ তার সিদ্ধান্ত নেয়।

বিবৃতিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’– জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেওয়া এই মূলমন্ত্রের ভিত্তিতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক নীতি গ্রহণের যে সার্বভৌম অধিকার, তার প্রতি সব পক্ষ ‘সম্মান প্রদর্শন করবে’ বলে বাংলাদেশ প্রত্যাশা করে।

Share this content:

Related Articles

Back to top button