
এবিএনএ: ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলারর প্রকৃত খুনিদের আড়াল করে বিএনপি সরকার ‘জজ মিয়া নাটক’ সাজিয়েছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, গুজব ছড়ানো বা মিথ্যা কথা বলায় বিএনপির চেয়ে পারদর্শী আর কেউ নাই। তারা সব দিকে ছড়াল, আমি নাকি ভ্যানিটি ব্যাগে করে গ্রেনেড নিয়ে এসে মেরেছি। গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দোষীদের বিচার না করে বিএনপি সরকার তাদের পদোন্নতি দিয়ে ‘পুরস্কৃত’ করেছিল মন্তব্য করে তিনি বলেন, তাদের দুঃখ ছিল, আমি কেন মরলাম না। খবর নেওয়ার চেষ্টা করছিল। জানি না তাদের কী ইচ্ছা। বাংলাদেশের মাটিতে ফেরার পর থেকেই যতবার যেখানে গিয়েছি, ততবারই এই ধরনের পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। আল্লাহ আমাকে প্রতিবার বাঁচিয়েছে। দেশবাসীর উদ্দেশ্যে শেখ হাসিনা বলেন, যারা জাতির পিতাকে হত্যা করতে পারে, আগুন দিয়ে মানুষ মারতে পারে, নারী ও শিশু হত্যা করতে পারে; যারা প্রকাশ্য দিবালোকে বিরোধী দলের র্যালিতে গ্রেনেড হামলা করতে পারে, তারা কখনো কোনো দেশের কল্যাণ ও মঙ্গল করতে পারে না। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি-জামায়াত জোটের কেউ যাতে আওয়ামী লীগে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক করে দিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের যারা ঘাপটি মেরে থাকে, তারা অনেকে আমাদের দলের সাথে মিশে যায়। এদের যেন কেউ দলে না টানে। দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চেষ্টা করছি সব রকমের সুযোগ করে দিতে, যেন ঈদের খুশি প্রত্যেকের ঘরে ঘরে আসে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের পূর্বনির্ধারিত সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশ ও শোভাযাত্রার কর্মসূচি ছিল। ওইদিন শেখ হাসিনার বক্তব্যের পরপরই সমাবেশস্থলে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। সেদিন প্রাণে বেঁচে গেলেও স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নত্রেী শেখ হাসিনার। হামলায় কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন প্রাণ হারান। আহতদের অনেকে চিরতরে পঙ্গু হন, ঘটে অঙ্গহানি।
Share this content: