আন্তর্জাতিকলিড নিউজ

কাশ্মীরীদের সঙ্গে অমিত শাহের বৈঠক, সেনা কমবে ১৫ দিনে

এবিএনএ: ভারতের দিল্লিতে জম্মু-কাশ্মীরের পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য ও স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আগামী ১৫-২০ দিনের মধ্যেই কাশ্মীর থেকে বাড়তি সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। গত ৫ আগস্ট কাশ্মীর নিয়ে ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করা হয়। এর এক মাস আগে থেকেই বাড়তি সেনা এনে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়ে গোটা কাশ্মীর উপত্যকা। কেন্দ্রের দাবি, উপত্যকার পরিস্থিতি এখন মোটের উপর শান্ত। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর কড়াকড়ি সেখানে এখনও কমেনি।

কেন্দ্রের আশা, বাড়তি নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে নেওয়া শুরু করলেই জীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসবে কাশ্মীরে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার। কেন্দ্র বাড়তি সেনা সরিয়ে উপত্যকায় ছন্দ ফেরানোর আশা করলেও সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধান ও সদস্যরা কিন্তু নিরাপত্তার অভাবে ভুগছেন। মঙ্গলবার বৈঠকে তাদের বড় অংশই নিরাপত্তা বৃদ্ধির দাবি জানান। আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে জম্মু-কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। কিন্তু দ্রুত সেটি ফের রাজ্যের মর্যাদা ফিরে পাবে, সেই আশ্বাসও দিয়েছেন শাহ।

গান্ডেরবাল এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য নাজির আহমেদ বলেন, ৩৭০ অনুচ্ছেদ রদের ফলে জমি হাতছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় ভুগছেন উপত্যকার মানুষ। তাদের আশ্বস্ত করে শাহ বলেছেন, জম্মু-কাশ্মীরের মানুষের অধিকার কোনোভাবেই ক্ষুণ্ণ হবে না। এই বৈঠকের সঙ্গে সরাসরি কোনো যোগ নেই বলে কেন্দ্র দাবি করলেও, অনেকে বলেছেন সবটাই পরিকল্পিত। বেছে বেছে সরকারপন্থী পঞ্চায়েত সদস্যদের এনে পরিস্থিতি যে স্বাভাবিক হচ্ছে, সেই বার্তা দিতে চেয়েছে কেন্দ্র।

বৈঠকে শাহ ইঙ্গিত দেন, এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই উপত্যকা থেকে বাড়তি সেনা সরিয়ে ফেলতে চায় দিল্লি। কিন্তু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কর্তাদের একাংশের আশঙ্কা, সেনা সরানো শুরু হলেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে উপত্যকা। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু জায়গায় সে ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ফলে এখনই বাড়তি সেনা সরানোর সিদ্ধান্ত কতটা যুক্তিযুক্ত, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে মন্ত্রকে। আপাতত কয়েক মাস সেখানে সেনা রাখার পক্ষপাতি অনেকেই।

Share this content:

Related Articles

Back to top button