
এ বি এন এ : দশম জাতীয় সংসদের দ্বাদশ অধিবেশন আগামী রবিবার বিকাল ৫টায় শুরু হচ্ছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা পূরণের জন্য এ অধিবেশন আহ্বান করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গত ৫ সেপ্টেম্বর এ সংসদের অধিবেশন আহ্বান করেছেন। এটি হচ্ছে সংসদের শরৎকালীন অধিবেশন। সংবিধান অনুযায়ী এক অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে সংসদের পরবর্তী অধিবেশন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সে হিসাবে ৬০ দিনের বাধ্যবাধ্যকতা পূরণের জন্য এ অধিবেশন ডাকায় এর মেয়াদকাল সংক্ষিপ্ত হতে পারে। তবে আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠেয় সংসদ কার্য-উপদেষ্টা কমিটির সভায় দ্বাদশ অধিবেশনের মেয়াদ ও কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হবে বলে সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয়। সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয় সংক্ষিপ্ত হলেও এ অধিবেশনে বেশ কয়েকটি বিল পাস ও উত্থাপন ছাড়াও সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যূর ওপর আলোচনা হতে পারে। আসন্ন অধিবেশনের জন্য পুরনো ১১টি বিলসহ মোট ১৫টি বিল সংসদে জমা পড়েছে। নতুন ৪টি বিল হচ্ছে বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) বিল ২০১৬, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি বিল-২০১৬, বাংলাদেশ নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কাউন্সিল বিল ২০১৬ এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল ক্যাডেট কোর বিল ২০১৬। এছাড়াও অধিবেশন চলাকালে আরও নতুন বিল জমা হতে পারে বলে সংসদ সচিবালয়ের আইন শাখা থেকে জানানো হয়। এদিকে দশম জাতীয় সংসদের ১১তম (বাজেট) অধিবেশন গত ২৭ জুলাই শেষ হয়। গত ১ জুন ওই অধিবেশন শুরু হয়। মোট ৩২টি কার্যদিবসের ওই অধিবেশনে ১৬টি সরকারি বিল পাস হয়। আইন প্রণয়ন সম্পর্কিত কাজ সম্পাদনের পাশাপাশি কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধিতে ১৯৩টি নোটিশ পাওয়া যায়। নোটিশগুলো থেকে ১২টি গৃহীত নোটিশের মধ্যে ২টি আলোচিত হয়। এছাড়া ৭১(ক) বিধিতে দুই মিনিটের আলোচিত নোটিশের সংখ্যা ছিল ৫৬টি। এছাড়া একাদশ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রীর উত্তর দানের জন্য সর্বমোট ২৩১টি প্রশ্ন পাওয়া যায়। তার মধ্যে তিনি ৯১টি প্রশ্নের উত্তর দেন। মন্ত্রীদের জন্য আনা ৪ হাজার ১৮৪টি প্রশ্নের মধ্যে ৩ হাজার ৪৭১টি প্রশ্নের জবাব দেন।
Share this content: