আন্তর্জাতিক

ইয়েমেনের আকাশে ইসরায়েলি তাণ্ডব: এক রাতে হুদায়দায় ৩০ যুদ্ধবিমান হামলা

হুথি প্রতিরোধের জবাবে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ আকাশ হামলায় বিপর্যস্ত হুদায়দা ও ইয়েমেনের বিভিন্ন অঞ্চল

এবিএনএ: মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করল ইয়েমেনের হুদায়দা শহরে ইসরায়েলি বিমান হামলা। সোমবার দিবাগত রাতে অন্তত ৩০টি যুদ্ধবিমান একযোগে এই বন্দরে আক্রমণ চালিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো।

হুথি প্রতিরোধ জোরদার হওয়ার পর পাল্টা জবাবে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করছে তেল আবিব ওয়াশিংটন। মার্কিন এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন, হামলাগুলো হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে।

হামলার বিস্তৃতি
ইয়েমেনের আল-মাসিরাহ টেলিভিশনের প্রতিবেদন অনুসারে, শুধুমাত্র মে থেকে শুরু করে মার্কিন বাহিনী ইয়েমেনে অন্তত ৩৫টি বিমান হামলা পরিচালনা করেছে। এই হামলার লক্ষ্য ছিল আল-জাওফ মারিবসহ গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রদেশ।

এছাড়া, মার্কিন সরকার দাবি করেছে, মার্চ থেকে চলমান অভিযানে তারা এক হাজারেরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হেনেছে, যার মধ্যে রয়েছে সামরিক যোগাযোগ অবকাঠামো।

লোহিত সাগরকে কেন্দ্র করে সংঘাত
এই আক্রমণের প্রধান লক্ষ্য বলে জানা গেছে, লোহিত সাগরে ইসরায়েল ইসরায়েল-সমর্থিত জাহাজে হুথি হামলা ঠেকানো এবং অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে হুথিদের প্রতিরোধী তৎপরতা দমন।

সম্প্রতি ইয়েমেন থেকে বেন গুরিওন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের দিকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর এই সংঘাত আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে।

হুথিদের প্রতিশোধ বার্তা
ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানান, এই হামলা ফিলিস্তিনের গাজার জনগণের প্রতি সংহতির অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়েছে। তার দাবি, হামলার ফলে ইসরায়েলের ত্রিশ লক্ষেরও বেশি মানুষ বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে এবং গুরুত্বপূর্ণ বিমানবন্দর কার্যক্রম এক ঘণ্টার বেশি সময় বন্ধ ছিল।

নতুন উত্তেজনার ইঙ্গিত
বিশ্লেষকদের মতে, ইয়েমেন ইস্যুতে ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের এই সম্মিলিত পদক্ষেপ শুধু আঞ্চলিক নয়, বৈশ্বিক রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিচ্ছে। এর প্রভাব পড়তে পারে লোহিত সাগরের বাণিজ্য পথ এবং মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা চিত্রেও।

Share this content:

Back to top button