জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল, ১৫ই জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন

এবিএনএ: আগামী নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল হবে বলে জানিয়েছেন এক নির্বাচন কমিশনার।সোমবার (২৩ অক্টোবর) ইসি ভবনে তিনি এসব কথা বলেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি বলেন, সবাই নির্বাচন চায়, জনগণ নির্বাচন চায়। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে তফসিল। ডিসেম্বরের শেষ অথবা জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ভোট হবে।

ভোটের পরিবেশ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভোটের পরিবেশ ভালো আছে। আমি কোনো সমস্যা দেখি না। মানুষ জানতে চায় কবে ভোট হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ততা দেখা গেছে নির্বাচন কমিশনে (ইসি)। নির্বাচন উপলক্ষে ভোটার তালিকা, ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার ও বিভিন্ন প্রকারের অতিগুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনী মালামাল কমিশনে আনা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহ থেকে মাঠপর্যায়ে এসব মালামাল পাঠানো শুরু হবে। এজন্য আঞ্চলিক, জেলা-উপজেলা ও থানা নির্বাচন অফিসের নিরাপত্তা চেয়ে চিঠি দিয়েছে ইসি।

এদিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনীতির মাঠে উত্তেজনা-অনিশ্চয়তা কাটেনি। উল্টো দিন দিন তা আরও জোরালো হচ্ছে। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলনে বিএনপি। সামনের দিনে এ আন্দোলন আরও কঠিন হবে বলে জানিয়েছে দলটি।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগও সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন করতে অটল। দলটির নেতারা জানিয়েছেন, কোনো বার্তা বা আলটিমেটাম দিয়ে লাভ হবে না। সরকার সংবিধান থেকে একচুলও নড়বে না। ফলে দিন দিন উত্তেজনা ও অনিশ্চয়তা বাড়ছে। এ অবস্থায় নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে রাখছে ইসি।

ইসি কর্মকর্তারা জানান, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি হিসেবে সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ শেষ করেছে কমিশন। এছাড়া ভোটকেন্দ্রের খসড়াও চূড়ান্ত হয়েছে। চলছে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত করার কাজ। আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে আসনভিত্তিক ভোটার তালিকা প্রস্তুত করার জন্য মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দিয়েছে কমিশন। নির্বাচনী কেনাকাটার কাজও প্রায় শেষ। সব মালামাল ইসিতে আসতে শুরু করেছে।

ইসির খসড়া তালিকা অনুযায়ী, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ভোটকেন্দ্র হবে ৪২ হাজার ৩৮০টি। ভোটকক্ষ হবে দুই লাখ ৬১ হাজার ৬৬৮টি। নির্বাচনে প্রতিটি ভোটকক্ষের জন্য একটি করে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রয়োজন হয়। প্রতি কেন্দ্রে একটি করে দেওয়া হয় অতিরিক্ত ব্যালট বাক্স। সে হিসাবে, আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিন লাখের বেশি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স প্রয়োজন হবে। কমিশনের কাছে এখন বেশ কিছু ব্যালট বাক্স আছে। আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ৭৫-৮০ হাজারের মতো নতুন ব্যালট বাক্স কেনা হচ্ছে।

ইসি জানায়, নির্বাচনী মালামাল ইসি সচিবালয়ের ১০টি আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস, প্রতিটি জেলা, উপজেলা ও মেট্রোপলিটন এলাকায় থানা নির্বাচন অফিসে সংরক্ষণ করা হবে।

Share this content:

Related Articles

Back to top button