রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ আর নেই। ৯৬ বছর বয়সে বৃহস্পতিবার বিকেলে বালমোরাল ক্যাসেলে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এ সময় তার পাশে ছিলেন প্রিন্স চার্লস সহ তার সব সন্তান, রাজপরিবারের বেশির ভাগ সদস্য। তাদের সামনে শান্তিতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রানী। ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় সিংহাসনে থাকার ঐতিহাসিক রেকর্ড সৃষ্টি করে তিনি শুধু বৃটেন নয়, সারাবিশ্বের মানুষের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার মৃত্যুর খবরে বৃটেনের সঙ্গে কাঁদছে পুরো বিশ্ব। এর আগে তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ প্রকাশ করেন চিকিৎসকরা। এ নিয়ে বিবৃতি দেয় বাকিংহাম রাজপ্রাসাদ। বৃটিশ মিডিয়া বলছে, রানীর স্বাস্থ্যগত বিষয়ে রাজপ্রাসাদের বিবৃতি উচ্চমাত্রায় অস্বাভাবিক। এ থেকে আন্দাজ করা যায়, অবস্থা খুবই গুরুতর।
এর আগে রানীর অসুস্থতার খবরে তাৎক্ষণিক টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। ওই সময় পার্লামেন্টে জ্বালানি ইস্যুতে বিতর্ক চলছিল। অসুস্থতার খবর শুনে রানীর জন্য প্রার্থনা জানান আর্চবিশপ অব ইংল্যান্ড। খবর জানার পর উদ্বিগ্ন দেশবাসী ছুটে যান বালমোরাল প্রাসাদের বাইরে। তারা কান্নায় ভেঙে পড়েন। ইতিহাস সৃষ্টি করে সবচেয়ে দীর্ঘ সময় কমপক্ষে ৭০ বছর বৃটিশ সিংহাসনে রাজত্ব করেছেন রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এ সময়ে তিনি ১৫ জন প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ করেন। দেশের সংকটময় সময়গুলোতে সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তার সেবার জন্য দেশজুড়ে, দেশের বাইরে অস্বাভাবিক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। বিশেষ করে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোতে তিনি যেন মাথার মণি।