জাতীয়বাংলাদেশলিড নিউজ

ভোটের পরিবেশ ভালো, তবে ইভিএমে ‘গন্ডগোল’ দেখছেন সাক্কু

এবিএনএ: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে ভোটের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও ইভিএম পদ্ধতির ভোটগ্রহণে ধীরগতিসহ বিভিন্ন কেন্দ্রে ‘গন্ডগোল’ হচ্ছে বলে দাবি করেছেন স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী মো. মনিরুল হক সাক্কু। বুধবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় নগরীর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হোচ্ছা মিয়া উচ্চ বিদ্যায় কেন্দ্রে ভোট দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ অভিযোগ করেন।

টেবিল ঘড়ি প্রতীকের এ স্বতন্ত্র প্রার্থী বলেন, ইভিএমের কারণে ভোটে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে। ফলে ভোট কাস্টিং কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে ইভিএম মেশিনে গন্ডগোল দেখা দিয়েছে। মার্কা দেখা যাচ্ছে না। দ্রুত ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হলে তিনি আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের চেয়ে দিগুণ ভোট পেয়ে বিজয়ী হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাক্কু।

শেষ পর্যন্ত ভোটে থাকবেন কি না, এমন প্রশ্নে সাক্কু বলেন, গতকালই বলেছিম যুদ্ধ থেকে ফিরে যাওয়া যায় না। ফলাফল যাই হোক, জয়-পরাজয় যাই হোক, রেজাল্ট নিয়েই ঘরে ফিরবো। ইভিএমে ত্রুটি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি তো ভোট দিলাম। টিপ দিলে তো প্রতীক দেখাবে। আপনি কাকে ভোট দিচ্ছেন তা দেখাবে, কিন্তু এখানে তা দেখাচ্ছে না। একটা কেন্দ্রে গেলাম, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাকে বলছিও।

এসময় তিনি নিজের জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী বলেও সাংবাদিকদের জানান। এদিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী বলেছেন, কুসিক নির্বাচনে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ৩ হাজার ৬০৮ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। আমরা আশা করছি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারো। এ নির্বাচনে পাঁচজন মেয়র পদপ্রার্থী ছাড়াও কাউন্সিলর পদে ১০৮ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

সিটি করপোরেশনের ১০৫টি ভোটকেন্দ্রের প্রতিটিতেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলছে। বুধবার সকাল ৮টায় শুরু হওয়া ভোট শেষ হবে বিকেল ৪টায়। সিটিতে মোট ভোটার দুই লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন। এর মধ্যে নারী ভোটার এক লাখ ১৭ হাজার ৯২ জন এবং পুরুষ ভোটার এক লাখ ১২ হাজার ৮২৬। দুজন রয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার।

Share this content:

Back to top button