,
প্রচ্ছদ | জাতীয় | আন্তর্জাতিক | অর্থনীতি | আমেরিকা | লাইফ স্টাইল | ভিডিও নিউজ | ফিচার | আমেরিকা | বিনোদন | রাজনীতি | খেলাধুলা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | শিক্ষা

মিয়ানমারের জান্তা সরকারকে বাদ দিয়েই শুরু আসিয়ানের বিরল সম্মেলন

এবিএনএ: মিয়ানমারের সামরিক জান্তা জেনারেল মিন অং হ্লাইংকে বাদ রেখেই শুরু হয়েছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার নেতাদের সংগঠন আসিয়ানের বার্ষিক সম্মেলন। এতে মিয়ানমারের অরাজনৈতিক প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তেমন কেউ উপস্থিত হননি। ভার্চ্যুয়াল মাধ্যমে আজ মঙ্গলবার উদ্বোধনী অধিবেশনে আসিয়ান চেয়ার ব্রুনাই অথবা এই ব্লকের মহাসচিব- কেউই মিয়ানমারের অনুপস্থিতির বিষয়টি উল্লেখ করেননি। দেশের ভিতরে সৃষ্ট সহিংসতার প্রেক্ষিতে সামরিক জান্তার সামনে একটি আঞ্চলিক শান্তি চুক্তি উপস্থাপন করেছিল আসিয়ান। তা বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছিল। জান্তা সরকার তা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিল। কিন্তু তারা ব্যর্থ হওয়ার কারণে আসিয়ান নেতারা ওই সরকারকে তাদের সম্মেলন থেকে বাদ রেখেছে। এটা সামরিক জান্তা মিন অং হ্লাইংয়ের জন্য সবচেয়ে প্রচ- চপেটাঘাত।

আসিয়ানের বৈঠকে চীন, রাশিয়া সহ অন্য বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি বক্তব্য রাখার কথা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের। আজ মঙ্গলবার উদ্বোধনী দিনে আসিয়ান নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং দক্ষিণ কোরিয়ার নেতাদের তিনটি আলাদা বৈঠকের শিডিউল আছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। ১লা ফেব্রুয়ারি বেসামরিক সরকারের প্রধান অং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সিংহাসনে বসেন সেনাপ্রধান জেনারেল মিন অং হ্লাইং। তখন থেকেই এর প্রতিবাদে রাস্তায় নামে দেশটির খেটে খাওয়া মানুষ, পেশাদাররা। কিন্তু নির্বিচারে তাদের বিরুদ্ধে গুলি চালায় সেনারা। এতে এ পর্যন্ত কমপক্ষে এক হাজার বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসে সমস্যা সমাধানের জন্য জান্তা সরকারকে বলেছিল আসিয়ান। কিন্তু তারা তাতে রাজি হলেও, বাস্তবায়ন করেনি। ফলে গত ১৫ই অক্টোবর আসিয়ান নেতারা বিরল এক সিদ্ধান্ত নেন। তারা বার্ষিক এই সম্মেলন থেকে সেনাপ্রধান ও সামরিক জান্তা সরকারের প্রতিনিধিদের বাদ রাখার সিদ্ধান্ত নেন। জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে এতবড় ও জোরালো পদক্ষেপ এর আগে কাউকে নিতে দেখা যায়নি। উপরন্তু আসিয়ানের মূলতন্ত্রই হলো একে অন্যের দেশের ভিতরকার বিষয়ে নাক গলাবে না এবং তার সঙ্গে যুক্ত হবে না। কিন্তু দৃশ্যত মানবতার জন্যই তাই করেছে আসিয়ান। ফলে একে বিরল ও অত্যন্ত জোরালো এক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

আসিয়ানের সদস্য হলো ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, ফিলিপাইন, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনাম। এর আগে মিয়ানমারে যখন সামরিক শাসন ছিল, তখন ১৯৯৭ সালে সেই সামরিক সরকারের অধীনে আসিয়ানে যোগ দেয় দেশটি। বার্তা সংস্থা এপি’কে দু’জন কূটনীতিক জানিয়েছেন, আজ মঙ্গলবারের সম্মেলনে অরাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে মিয়ানমারের বর্ষীয়ান উচ্চ পদস্থ কূটনীতিক চ্যান আই-ই’কে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ব্রুনাই। কিন্তু তিনি তাতে যোগ দেননি। ওদিকে তিনদিনের এই সম্মেলনে সামরিক জান্তাকে আমন্ত্রণ না জানানো অথবা তাকে এড়িয়ে সম্মেলন করার আসিয়ান সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রতিশ্রুতি নিয়েছে সামরিক বাহিনী। বলেছে, ব্রুনাইকে তারা জানিয়ে দিয়েছে যে, মিন অং হ্লাইং অথবা মন্ত্রী পর্যায়ের কোন প্রতিনিধি ছাড়া মিয়ানমারের প্রতিনিধি হিসেবে তারা কাউকে মেনে নেবে না।

পক্ষান্তরে মিয়ানমারের সামরিক জান্তাকে সম্মেলন থেকে বাইরে রাখার জন্য শত্রুতা বন্ধে ব্যর্থতা, আলোচনা শুরুতে ব্যর্থতা, মানবিক সমর্থনে অনুমোদনে ব্যর্থতা এবং মিয়ানমারে একজন বিশেষ দূতের প্রবেশের পূর্ণ অধিকার নিশ্চিত করায় ব্যর্থতাকে তুলে ধরেছে আসিয়ান। উল্লেখ্য, ক্ষমতাচ্যুত নেত্রী অং সান সুচি ও তার সরকারের যেসব নেতাকে ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে আটক করে রেখেছে সামরিক জান্তা, তাদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য মিয়ানমারে একজন বিশেষ দূত পাঠানোর অনুমতি চেয়েছিল আসিয়ান । ওই দূত হলেন ব্রুনেইয়ের সেকেন্ড পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইরিওয়ান ইউসুফ। কিন্তু আসিয়ানের সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছে সামরিক জান্তা।

মিয়ানমারে বিরোধীরা গঠন করেছে সমান্তরাল সরকার। এর নাম দেয়া হয়েছে ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি)। তারা আসিয়ান এবং আন্তর্জাতিক মহল থেকে স্বীকৃতি দাবি করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা কোনো স্বীকৃতি পায়নি। এরই মধ্যে ২৫ শে অক্টোবর এনইউজির দু’জন প্রতিনিধির সঙ্গে ভার্চ্যুয়ালি সাক্ষাত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান। সোমবার এ ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। জ্যাক সুলিভান বলেছেন, মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থিদের আন্দোলনে অব্যাহতভাবে সমর্থন দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। এ সময় তিনি সেখানে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার চলমান উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন। সামরিক বাহিনীর নৃশংস সহিংসতায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন সুলিভান। বলেন, অভ্যুত্থানের কারণে অব্যাহতভাবে জবাবদিহিতা চাইবে যুক্তরাষ্ট্র।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অলটারনেটিভ আসিয়ান নেটওয়ার্ক অন বার্মা’র প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়কারী ডেবি স্টোটহার্ড বলেছেন, আসিয়ান সম্মেলনে আমন্ত্রণ না জানানো নিশ্চয়ই মিয়ানমারের সামরিক জান্তার জন্য হতাশার। মিয়ানমারের উত্তরে অত্যাসন্ন যে অপরাধ ঘটছে তা নিয়ে আসিয়ানের উদ্বেগ- বড় ভূমিকা রেখেছে। এ ছাড়া ২০১৭ সালে পশ্চিমের রাজ্য রাখাইনে মুসলিম রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যে দমনপীড়ন চালিয়েছে সেনাবাহিনী তা নজিরবিহীন। এর ফলে কমপক্ষে ৭ লাখ মানুষ পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে।

Chairman & Editor-in-Chief : Shaikh Saokat Ali
Managing Director: Akbar Hossain
Executive Editor: Mehedi Hasan
E-mail : abnanewsusa@gmail.com
Usa Office: 289 West Koach Avenue, Egg harbor City, New Jersey-08215, Bangladesh Office : 60/1. Purana Paltan (2nd Floor), Dhaka-1000, Usa. Phone: +16094649559, Cell:+8801711040113, +8801912-621573
Server mannarged BY PopularServer
Design & Developed BY PopularITLimited