এবিএনএ : করোনায় সুবিধাবঞ্চিত মানুষকে খাদ্যসামগ্রী দিয়েছে বিএনপি। আজ মঙ্গলবার কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। মঙ্গলবার সকালে নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় জাতীয়তাবাদী নাগরিক সমাজের উদ্যোগে নয়া পল্টন, ফকিরেরপুল এলাকার দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
শাহ আবদুল আল বাকীর সভাপতিত্বে ও শহিদুল ইসলাম ভিপির সঞ্চালনায় এই ত্রাণ কর্মসূচিতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানি, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শহিদুল ইসলাম বাবুল, জাতীয়তাবাদী নাগরিক সমাজের আলী আজম জালাল, নজরুল ইসলাম, সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, মমতাজ হোসেন লিপি, শাহজাহান কামাল, মোয়াজ্জেম হোসেন, শাহাবুদ্দিন সাবু, এনামুল হক, সাজ্জাদ হোসেন কায়কোবাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পরে সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সাংবাদিকদের বলেন, এই যে অপরিকল্পিত ও সমন্বয়হীন লকডাউন চলছে, সেই লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের মধ্যে ত্রাণ বা খাদ্য সামগ্রী বিতরণের জন্য জাতীয়তাবাদী নাগরিক সমাজ এই কর্মসূচির উদ্যোগ নিয়েছে। এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন আমাদের নেতা স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আমরা শুধু এইটুকু বলতে চাই যে, সরকার এই করোনা মোকাবিলায় যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা শুধু জনগণের বিপক্ষে নয় তাই নয়, এটা সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। আমরা বার বার বলেছি, যারা নিম্ন আয়ের মানুষ, দিন আয় দিন খায় মানুষ তাদেরকে অর্থ ও খাদ্য সামগ্রী দেওয়া ছাড়া লকডাউন, কঠোর লকডাউন অথবা কারফিউ কোনোটাই কার্যকর হবে না। সেটাই আজকে প্রমাণিত হয়েছে।
তিনি ঈদের আগে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শিথিল প্রসঙ্গে বলেন, সরকার নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তে করোনা পরিস্থিতির অবনতি ঘটবে। রোজার ঈদের পর পরই যদি সরকার নিম্ন আয়ের পরিবারের খাদ্য ও অর্থ দিয়ে কঠিন ও কঠোর লকডাউন দিত এবং সকলের জন্য টিকা আনতে সমর্থ হতো, তাহলে এখন লকডাউনের প্রয়োজন হতো না। সরকারের ব্যর্থতা ও ভুল সিদ্ধান্তের জন্যই জনগণকে বিপর্যয়কর পরিস্থিতিতে পড়তে হচ্ছে। অবিলম্বে দিন আনে দিন খায় প্রান্তিক মানুষদেরকে এককালীন ১৫ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আবারো দাবি জানান তিনি।