আমেরিকালিড নিউজ

ইসরায়েলকে দৃঢ় সমর্থন, আব্বাসকে হামলা বন্ধ করতে বললেন বাইডেন

এবিএনএ : গত সপ্তাহ থেকে এক নাগাড়ে ফিলিস্তিনের গাজায় রকেট হামলা চালাচ্ছে দখলদার ইসরায়েল। হামাসও ইসরায়েলে রকেট হামলা চালাচ্ছে। এই হামলায় গাজায় নারকীয় পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। এমন অবস্থায় ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ফিলিস্তিনকে হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন।

শনিবার ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে ফোন করেন বাইডেন। ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথমবারের মতো ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্টকে ফোন করলেন তিনি। এসময় তিনি ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানান ও গাজা থেকে যেন ইসরায়েলে হামলা বন্ধ করা হয় সেই আহ্বান জানান। এক টুইট বার্তায় হোয়াইট হাউস জানায়, মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে ফোনালাপে ফিলিস্তিনের সঙ্গে অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন বাইডেন। এছাড়া জেরুজালেমে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়ে আলোচনা করছেন।

আরেক টুইট বার্তায় হোয়াইট হাউস জানায়, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি ইসরায়েলের পক্ষে দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন। ইসরায়েলের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন বাইডেন। এছাড়াও ইসরায়েলে হামাসের হামলার নিন্দা জানান তিনি। তবে দুই পক্ষের চলমান লড়াইয়ে শিশু ও বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু এবং গণমাধ্যমের কার্যালয় ধ্বংসের ব্যাপারে উদ্বেগ জানিয়েছেন বাইডেন। হামলা থেকে সাংবাদিকদের সুরক্ষিত রাখতে নেতানিয়াহুর প্রতি আহ্বান জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তবে হামাস নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেননি বাইডেন। মনে করা হচ্ছে, আব্বাসের সঙ্গে কথা বলে হামাসের হামলায় খুব একটা কাজে আসবে না। কারণ অবরুদ্ধ গাজা নিয়ন্ত্রণ করে হামাস এবং অধিকৃত পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণ করে আব্বাসের দল ফাতাহ। গাজায় আব্বাসের নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই কম। হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠণ হিসেবে মনে করে যুক্তরাষ্ট্র।

শনিবার বিকালে গাজায় হামলা চালিয়ে আল জাজিরা, এপিসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের ভবন গুড়িয়ে দিয়েছে ইসরায়েল। গত সপ্তাহে শুরু হওয়া এই হামলা পাল্টা হামলায় এখন পর্যন্ত ১৪৫ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪১ শিশুও রয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় এক হাজার জন। অপরদিকে হামাসের হামলায় দুই শিশুসহ দশ ইসরায়েলির মৃত্যু হয়েছে। দুই পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে কোনো সমঝোতার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। দুই পক্ষই হামলা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

Share this content:

Related Articles

Back to top button