
এবিএনএ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ০১ কোটি গাছ লাগানোর অংশ হিসেবে আজ ২৫ জুলাই বাংলাদেশের প্রথম প্রাতিষ্ঠানিক “রুফটপ গার্ডেন ও নার্সারী” স্থাপনের শুভ উদ্বোধন করা হলো। উদ্বোধন করেন উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজের গভর্নিং বডির সম্মানিত সভাপতি জনাব মুহাম্মদ আরিফুর রহমান টিটু। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোঃ আবুল হোসেন।
এ কার্যক্রম সফল করতে সার্বিক সহযোগিতা করেছেন রোটারী কাব অব ঢাকা অবনী, Green Savers, Club 68 Thousands, রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি ও প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকবৃন্দ।আজকের এ শহুরে জীবনের প্রেক্ষাপটে আমার আপনার সন্তান যদি জিজ্ঞেস করে ধান গাছে কাঠ হয় কিনা, বিষয়টি হাসির হলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। কেননা আরবানাইজেসনের ধাক্কায় আমরা আজ শিকড় থেকে বহু দুরে চলে এসেছি। মাটির সোঁদা গন্ধ আর কাঁদা মাটিতে আমরা বেড়ে উঠলেও আজ আমরা ইট-পাথরের এ কারাগারে বন্দী জীবন পার করছি। ঝড়ের দিনে আম কুড়াতে, কিংবা পাকা জামের মধুর রস এ-সব এখন সাহিত্যের ভাষা হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষ এখন নিঃস্বাস নেবার জন্য প্রকৃতির কাছে যাবার জন্য গাছ আর পাখপাখালি দেখার জন্য লংড্রাইভে যাচ্ছে। ঢাকা আজ গাছ শুন্য, পৃথিবীর সবচেয়ে দুষিত শহরের মধ্যে অন্যতম। আর কে না জানে গাছ হচ্ছে অক্সিজেনের কারখানা, আমাদের বেচে থাকার ফুসফুস। আর এবারের মহামারী করোনা আমাদের দেখিয়ে দিলো অক্সিজেনের মূল্য কত? পারবেন তো অক্সিজেন কিনে নিঃশ্বাস নিতে? আর অক্সিজেন শুন্য এ শহরের তাপমাত্রা কোথায় গিয়ে ঠেকবে ভেবেছি একবার?
হ্যাঁ আজ উইলসে স্থাপিত হতে যাচ্ছে একটা অক্সিজেনের কারখানা। হ্যাঁ এটা ঠিক বেশ অনেকদিন যাবতই ছাঁদ বাগান টার্মটার সাথে আমরা পরিচিত। কিন্তু এটা ছিলো ব্যক্তি উদ্যোগে কিংবা সখের বশে। আজ উইলস এটাকে প্রাতিষ্ঠানিক এবং শিক্ষার একটি অংশ হিসেবে রূপ দিতে যাচ্ছে। এ বাগানের মালি হবে কোমলপ্রাণ শিক্ষার্থীরা, হাতে, গায়ে কাঁদা মাখিয়ে তারা বিস্ময়ে দেখবে নূতন অঙ্কুরোদগম, পরিচিত হবে নিত্য নতুন গাছগাছালির সাথে। মোবাইলের নেশায় বুদ না হয়ে তারা সৃষ্টির পেশায় সময় কাটাবে। আর এসব কোমলমতি শিশুদের হাত ধরেই দেশে সবুজ বিপ্লব ঘটবে।
এমনিতেই সবুজ উইলস হিসেবে আমাদের প্রানপ্রিয় প্রতিষ্ঠানের সুখ্যাতি রয়েছে আর আজ থেকে পুরো দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সবুজায়ন করার পাইওনিয়ার হিসেবে মর্যাদা লাভ করবে। এ উদ্যোগের সফল উদ্যোক্তা গভর্নিং বডির সম্মানিত সভাপতি জনাব মুহাম্মদ আরিফুর রহমান টিটু, যিনি নিশ্চিতভাবেই ইতিহাসের অংশ হয়ে থাকবেন। আর এই ধরনীকে সবুজ আর ফুলে ফলে সুশোভিত করার এই আয়োজনে আজ যারা অংশীদার হয়ে এসেছেন তাদের এ ঐতিহাসিক ভূমিকা ও স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে। কবি সুকান্তর ভাষায় এ পৃথিবীকে আগামী প্রজন্মের জন্য বাসযোগ্য করার এ বিপ্লবে আপনাদের এই অবদান নিশ্চয়ই একদিন ইতিহাসের গবেষণার বিষয় হবে ইনশাআল্লাহ। আজকের এই অঙ্কুরোদগম একদিন এক বিশাল মহিরূহ হয়ে যাক এ প্রত্যাশা করছি। প্রত্যেকের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।
Share this content: