এবিএনএ : একটি বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে গোপনে বিনিয়োগ করার অভিযোগ ওঠায় আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ড গুনলাগসনের পদত্যাগের দাবিতে দেশটির পার্লামেন্টের বাইরে অনেক মানুষ জড়ো হয়েছেন।
এরআগে স্ত্রীর সঙ্গে যৌথ মালিকানায় থাকা কোম্পানি উইনট্রাসের বিস্তারিত প্রকাশ্য হয়ে পড়ার পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে তার সরে যাওয়ার বিষয়টি সামনে চলে আসে।
কিন্তু তিনি পদত্যাগে অস্বীকৃতি জানান।
দেশটির বিরোধীদলগুলো জানিয়েছে, তারা পার্লামেন্টে আস্থা ভোটের আয়োজন করবে।
প্রধানমন্ত্রী গুনলাগসন জানিয়েছেন, তিনি কোনো আইন ভঙ্গ করেননি এবং তার স্ত্রী আর্থিকভাবে লাভবানও হননি।
সম্প্রতি পানামার একটি ল’ ফার্মের এক কোটি দশ লাখ গোপন নথি ফাঁস হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে; বিশ্বের ধনী আর ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা কোন কৌশলে কর ফাঁকি দিয়ে গোপন সম্পদের পাহাড় গড়েছেন বেরিয়ে আসছে সেই তথ্য।
তাতে দেখা যায়, অ্যাইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী একটি বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে দেশের ব্যাংকগুলোতে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন, যা তিনি গোপন করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ড গুনলাগসন (ডানে) ও তার স্ত্রী আনা সিগুরলাগ পালসডোটির। ছবি: আইসল্যান্ড মনিটর আইসল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ড গুনলাগসন (ডানে) ও তার স্ত্রী আনা সিগুরলাগ পালসডোটির। ছবি: আইসল্যান্ড মনিটর বিবিসি বলছে, ফাঁস হয়ে যাওয়া নথির বরাতে দেখা যাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী সিগমুন্ড গুনলাগসন ও তার স্ত্রী ২০০৭ সালে উইনট্রাস নামের কোম্পানিটি ক্রয় করেন।
২০০৯ সালে দেশটির পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হওয়ার সময় তিনি প্রতিষ্ঠানটি থেকে পাওয়া লভ্যাংশের কথা গোপন করেছিলেন।
২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী গুনলাগসনের স্ত্রী আনা সিগুরলাগ পালসডোটিরের সই করা একটি নথিতে দাবি করা হয়েছে, উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া মিলিয়ন মিলিয়ন ডলার কোম্পানিটির মাধ্যমে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
ফাঁস হয়ে যাওয়া তথ্যে জানা গেছে, গুনলাগসনকে উইনট্রাসের সাধারণ আইনি ক্ষমতা দেওয়া আছে। এর মধ্যদিয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই তাকে কোম্পানিটি পরিচালনার সুযোগ দেওয়া হয়।
গুনলাগসনের মুখপাত্র দাবি করেছেন, পালসডোটির সবসময় কর কর্তৃপক্ষের কাছে তার সম্পদের হিসাব দিয়েছেন। কিন্তু পার্লামেন্টের নিয়ম অনুসারে উইনট্রাসের লাভ জানানোর প্রয়োজন নেই গুনলাগসনের।