এ বি এন এ : কয়েক সপ্তাহ আগেই ঢাকার অভিজাত এলাকা গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে জঙ্গি হামলার কারণে বাংলাদেশের সবাই এখন কিছুটা হলেও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। বিশেষ করে ওই হামলার পর পরই অনেক শপিং কমপ্লেক্স এবং রেস্টুরেন্টে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা।
এমনকি ঘর থেকে বের হয়ে ঘুরে ঘুরে শপিং কমপ্লেক্স থেকে কেনার মত মানুষের সংখ্যাও অনেক কমে গেছে।কিছুটা বাধ্য হয়েই এবং সময় বাঁচাতে এখন ক্রেতাদের মূল আকর্ষণ এসে ঠেকেছে অনলাইন সাইটগুলোতে।ব্যস্ত মানুষজন হাতে কিছুটা সময় বের করে ইন্টারনেটেই কেনাকাটা সেরে ফেলছেন। দেখে নেয়া যাক, এখনকার অনলাইন সাইট গুলোর হাল-চাল।
জমজমাট ফ্যাশন পণ্য বিক্রির সাইটঃ
কয়েকদিন আগেই শেষ হয়েছে ঈদ-উল-ফিতর। গেল ঈদে বেশ জমজমাট ছিল অনলাইনে ঈদের বাজার। ফ্যাশন ই-কমার্স সাইট জুমজুম সাধারণ মাসের তুলনায় এবারের ঈদের বাজারে প্রায় দ্বিগুণ পণ্যের অর্ডার পেয়েছিল।এমনকি ঈদের পরেও কিন্তু থেমে নেই পণ্যের অর্ডার। বাগডুম, কেইমু, দারাজের মতো সাইটগুলোও ঈদের পরে আবার শুরু করেছে তাদের ফেসবুক পেজে বিভিন্ন পণ্য বিক্রির বিজ্ঞাপন। এসব পোস্টগুলো আবার বেশী মানুষের হোমপেজে পৌঁছে দিতে অনেক বেশী বুস্টও করা হচ্ছে। এসব সাইটের ফেসবুক পোস্টগুলো ঘেঁটে দেখা যাচ্ছ, একেকটি পোস্টে কয়েক হাজার লাইকের সাথে প্রায় শ’খানেক কমেন্টও যোগ হচ্ছে। জুমজুমের কাস্টমার কেয়ার এক্সিকিউটিভের সাথে কথা বলে জানা গেল, শুধু ফেসবুকে কমেন্ট, ম্যাসেজ করেই নয় অনেকেই ফোন করেও বিভিন্ন পণ্যের অর্ডার করছেন।আর ওয়েবসাইটে যেয়ে ক্লিক করেও অর্ডার করা গ্রাহকের সংখ্যাও খুব একটা কম না।
অনলাইন সাইটগুলোর উপর নির্ভরতাও বাড়ছে:
কয়েক বছর আগেও অনলাইন সাইট থেকে কোন পণ্য কেনার আগে বেশ কয়েকবার চিন্তা করতে হতো। কিন্তু সম্প্রতি অনলাইন গুলো তাদের সেবার মান অনেকখানি বাড়ানোতে এখন ক্রেতারাও আগ্রহী হচ্ছে অনলাইন সাইটগুলোতে। সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, ঘরে বসে অর্ডার করে ঘরে বসেই অর্ডার গ্রহণ করা যাচ্ছে, বাড়তি যাতায়াত খরচটাও বেঁচে যাচ্ছে।
Share this content: