এ বি এন এ : অভিবাসনের ধারণা-বিষয়ক জাতিসংঘের উচ্চপর্যায়ের একটি সভা গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত হয়। ‘গ্লোবাল ফোরাম ফর মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’-এর এই সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মো. শহিদুল হক।
সভায় উপস্থিত জাতিসংঘের ডেপুটি সেক্রেটারি জেনারেল ইয়ান ইলিয়াসন বলেন, অভিবাসনের ইতিবাচক বিষয়গুলোকে ধারণ করতে হবে। অভিবাসীরা সমাজে মিশ্র জনগোষ্ঠীর সৃষ্টি করছে। অভিবাসনের ফলে মিশ্র জাতি-গোষ্ঠীর সমাজে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটছে।
শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য অভিবাসন বিষয়ে আলোচনায় জাতিসংঘ মহাসচিবের উপদেষ্টা আবু জায়েদ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উন্নয়ন-বিষয়ক কমিশনার নেভিন মিমিকা, যুক্তরাষ্ট্রের মাইগ্রেশন পলিসি ইনস্টিটিউটের অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ক্যাটলিন নিউল্যান্ড বিশ্ব বাস্তবতায় অভিবাসনের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে বক্তব্য দেন।
সভায় জাতিসংঘের সদস্যদেশের প্রতিনিধি, বেসরকারি সংস্থা, সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিরা যোগ দেন। সভায় উন্নয়ন ও অভিবাসনের প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের পদক্ষেপ ও কার্যক্রমের প্রশংসা করা হয়। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন সভায় সমাপনী বক্তব্য দেন।
দারিদ্র্য, অনাহার ও আন্তর্দেশীয় আদম পাচারের সঙ্গে অভিবাসনের যোগসূত্র নিয়ে সভায় আলোচনা করা হয়। বাধ্য হয়ে অভিবাসনে যাওয়া এবং অভিবাসনে বাধ্য করার পার্থক্য নিয়ে আলোচকেরা তাঁদের ধারণা সভায় তুলে ধরেন।
জাতিসংঘের আগামী সাধারণ অধিবেশনে বিশ্বনেতারা অভিবাসন ও শরণার্থী সমস্যা নিয়ে পৃথক একটি সভায় মিলিত হবেন। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠেয় এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে অভিবাসনের সমস্যা, অপরাধমূলক আদম পাচার ও শরণার্থী সমস্যা নিয়ে রাষ্ট্রনেতাদের আলোচনা করার কথা রয়েছে।