এ বি এন এ : রোজা ফারসি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে ‘উপবাস’। সব ধর্মেই রোজা বা উপবাসের নিয়ম রয়েছে। এর রয়েছে স্বাস্থ্যগত নানা উপকারিতা।
ইসলাম ধর্মালম্বীদের জন্যে রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ বা অবশ্য কর্তব্য। অসচেতনতায় এ সময় শুরু হয় অস্বাস্থ্যকর নানা খাবারের খাদ্যোৎসব। যা রোজাদারের কষ্টকে বাড়িয়ে দেয়। তাই জেনে নিন সেহরি ও ইফতারে কী খাবেন আর কী খাবেন না।
সাহরী
প্রোটিন জাতীয় খাবার পানির তৃষ্ণা বাড়ায়। সারাদিন খাওয়া হবে না ভেবে অনেকে সাহরীতে ভূরিভোজ করেন। খাবারের তালিকায় থাকে মাছ মাংসসহ হরেক পদের প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। কিন্তু মাছ-মাংস অর্থাৎ প্রোটিন জাতীয় খাবার পানির তৃষ্ণা বাড়ায়, যা রোজাদারের কষ্ট বাড়িয়ে দেয়। এই গরমে সারাদিন তৃষ্ণাহীন ঝরঝরে অনুভূতি পেতে সাহরীতে ভাতের সঙ্গে শুধু সবজি (ভাজি বা ঝোল করে) খান। সাহরীতে অল্প হলেও খান। প্রয়োজনে খেজুর-কলা বা দই-চিড়াও খেতে পারেন।
ইফতার
ইফতারে ভাজা-পোড়া, গুরুপাক ও অতিরিক্ত মশলাদার, রকমারি অস্বাস্থ্যকর খাবার যত কম খাওয়া যায় তত ভালো। বাজার থেকে কেনা ইফতারির চেয়ে ঘরে তৈরি খাবার তুলনামূলক স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ। এই গরমে সুস্থ থাকতে ইফতারে চিড়ার শরবত হতে পারে অনন্য পানীয়। ইফতারের আগে চিড়া ভিজিয়ে রাখুন। বাদামী চিনি(আখের) অথবা আখের গুড় মিশিয়ে তা ইফতারিতে খাওয়া যেতে পারে।
বোতলজাত জুস কিংবা শরবতের পরিবর্তে দুই/ তিনটি খেজুর খেয়ে পানি পান করতে পারেন। খেজুর ও পানি মিলে সুক্রোজ তৈরি করে, যা তাৎক্ষণিক প্রাণশক্তি এনে দেয়। এ ছাড়া খেজুরে আছে শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় শর্করা, চিনি, সোডিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, কপার, সালফার, ম্যাঙ্গানিজসহ নানা উপাদান। তাই অনেকে ইফতারে ভাজা-পোড়া খাবারের পরিবর্তে খেজুর, পানি, ডিম ও কলা ও ফলমূল খেতে পছন্দ করেন।
রাতের খাবার
রাতের খাবার শাক-সবজি, মাছ-মাংস, ডিম, ডালসহ অন্যান্য সুষম খাবার দিয়ে সেরে নিতে পারেন। ইফতারির পর থেকে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বারে বারে পানি পান করার অভ্যাস করতে পারেন।