এবিএনএ : উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশনকে বলা হয় নীরব ঘাতক। বাংলাদেশে মধ্যবয়স্কদের মধ্যে বেশির ভাগেরই এটি একটি গুরুতর শারীরিক সমস্যা। অতিরিক্ত ওজন, মানসিক চাপ, অনিয়মিত ডায়েট, কায়িক পরিশ্রম বা ব্যায়াম না করা- এসব কারণে উচ্চরক্তচাপ দেখা দেয়। উচ্চ রক্তচাপ থেকে রক্ষা পেতে যা যা খাবেন, আসুন জেনে নিই-
লবন কম খান: উচ্চ রক্তচাপ কমাতে সবচেয়ে আগে লবন খাওয়া কমাতে হবে। আর কাঁচা লবন খাওয়া বাদ দিন। রান্নাতেও যতটা সম্ভব লবন কম দিন। অতিরিক্ত লবন রক্তে মিশে সোডিয়ামের মাত্রা বাড়ায় ও দেহে সোডিয়ামের ভারসাম্য নষ্ট করে। ফলে রক্তচাপ বাড়তে থাকে। কিডনির ওপরেও এর যথেষ্ট প্রভাব পড়ে।
কলা খান: কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত খাবারের সঙ্গে তাই কলা খান।
সবুজ শাকসবজি: খাবার তালিকায় নিয়মিত সবুজ শাকসবজি রাখুন। ফাইবার সমৃদ্ধ সবুজ সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম ও ফোলেট থাকে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। কম তেলে রান্না করা সবজি বা সিদ্ধ সবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। এর ফলে শরীরে ক্যালোরি কম ঢুকবে।
ওটমিল: ওজন কমাতে ও এনার্জি বাড়াতে ওটসের কোনো বিকল্প নেই। ডায়েটিশিয়ানরা সকালের নাস্তায় ওটস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ওটসে সোডিয়ামের মাত্রা খুব কম। এতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় ফাইবার যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
তরমুজ: অ্যামিনো অ্যাসিড এল-সিট্রুলিন সমৃদ্ধ তরমুজ উচ্চ রক্তচাপসহ শরীরের নানা সমস্যা দূর করে। এছাড়া এতে থাকা লাইকোপিন, পটাসিয়াম, ভিটামিন এ ও ফাইবার রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
কমলালেবু ও ডাবের পানি: কমলালেবুর রসের সঙ্গে ডাবের পানি মিশিয়ে একটা মিশ্রণ তৈরি করুন। দিনে ২ থেকে ৩ বার এই মিশ্রণ পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে।
শশা: শশায় জলীয় উপাদান বেশি থাকে। ওজন কমাতে শশা খুব কার্যকরী। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত শশার রায়তা খেলে রক্তচাপ কমে ও শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।
মধু: উচ্চ রক্তচাপ কমানোর আরেকটি ঘরোয়া উপায় হলো মধু। এক কাপ উষ্ণ গরম পানিতে এক চামচ মধুর সঙ্গে ৫-১০ ফোঁটা অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগে পান করুন। সূত্র: হেলথ.কম