এবিএনএ : বেশিরভাগ নারীরা ভাত রান্না করে মাড় ফেলে দেন।জেনে রাখা ভালোভাত রান্নার পরে যে পানিটুকু আমরা ফেলে দেই তা খুবই পুষ্টিকর। তাই এই মাড় ফেলে দেয়া উচিৎ নয়। কিন্তু ভাতের মাড়ের পুষ্টি গুণের অজ্ঞাতার কারণে ভাদের মাড় ফেলে দেন আপনি।ভাতের মাড় কখনোই ফেরবেন না।আপনি জানেন কি শুধু ভাতের মাড়ে স্বাস্থ্য উপকারিতার পাশাপাশি সৌন্দর্য চর্চায়ও বেশ উপকারি।
আসুন জেনে নেই কেন ভাতের যত উপকার-
কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে
কমবেশি সবাই কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যায় ভোগেন।আপনি জানেন কি ভাতের মাড়ে আছে প্রচুর ফাইবার। এছাড়াও স্টার্চ পাকস্থলীর উপকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে পেটের বর্জ্য নিষ্কাশনকে সহজতর করে।
শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ
ভাতের মাড় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। গ্রীষ্মের তাপদাহ প্রতিরোধ করার জন্য ভাতের মাড় পান করলে বেশ উপকার পাওয়া যায়।
এনার্জি বৃদ্ধি
ভাতের মাড় এনার্জি লেভেল বাড়ায়। এতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেট আছে যা শক্তির চমৎকার উৎস। আমাদের শরীর কার্বোহাইড্রেট ভেঙে এনার্জি উৎপন্ন করতে পারে। সকালে এক গ্লাস ভাতের মাড় খেলে আপনি এনার্জি কমের কারণে দুর্বলতা বা মাথা ঘুরানো ভাব অনুভব করবেন না। ঠিক যেমন আমাদের দেশের কৃষক সারাদিন হার ভাঙ্গা পরিশ্রম করেও ক্লান্ত হন না কারণ তাঁরা সকালে ভাতের মার খেয়ে থাকেন।
ভাইরাস ইনফেকশন
জ্বরে শরীরের পানির ঘাটতি পূরণে এবং বমি বন্ধ করতে ভাতের মাড় কার্যকরী ভূমিকা রাখে। পুষ্টির ঘাটতি পূরণে এবং নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে ভাতের মাড়।
ডায়রিয়া
ডায়রিয়া হলে শরীর থেকে প্রচুর পরিমানে পানি বের হয়ে যায়। ডায়রিয়ায় পানিশূন্যতা পূরণ করে ভাতের মাড়।এছাড়া এক্সিমা ভালো করে, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে, আলঝেইমার্স প্রতিরোধ করে।
সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি
ভাতের মাড়ে ‘অরিজানল’ থাকে যা সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ভাতের মাড় পান করা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।