
এবিএনএ : বীর মুক্তিযোদ্ধা বীর প্রতীক কাকন বিবির মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের জিরারগাঁও গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বেলা সোয়া ১১টায় তাকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স বাড়িতে গিয়ে পৌঁছায়।কাকন বিবির মেয়ে সখিনা বিবি জানান, দোয়ারাবাজারে কাকন বিবির মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে সর্বস্তরের মানুষ। পরে বিকেল ৪টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অ্যাম্বুলেস কাকন বিবির মরদেহ নিয়ে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারের জিরারগাঁও গ্রামের দিকে রওয়ানা হয়। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা তার মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। সেখানে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ ও এলাকাবাসী কাকন বিবির লাশকে শ্রদ্ধা জানান।দোয়ারাবাজার থানার ওসি সুশীল কুমার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে লক্ষ্মীপুর স্কুল মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর পর তাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হবে।সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক সাবিরুল ইসলাম এবং পুলিশ সুপার বরকত উল্লাহ খান জানাজায় উপস্থিত থাকবেন বলে জানান ওসি।এর আগে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মাহবুবুল হক চৌধুরী জানান, কাকন বিবির মরদেহ সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষে বৃহস্পতিবার সকালে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।গতকাল বুধবার রাত ১১টা ১৫ মিনিটে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কাকন বিবি। নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে সোমবার সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি ভর্তি হন।১৯৭১ সালে তিন মাস বয়সী মেয়ে সখিনাকে রেখে মুক্তিযুদ্ধে যান কাকন বিবি। প্রথমে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গুপ্তচরের কাজ করলেও পরবর্তী সময়ে সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। পাক বাহিনীর হাতে আটক হয়ে নির্যাতনের শিকারও হয়েছেন এই বীর যোদ্ধা।১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে বীরপ্রতীক খেতাবে ভূষিত করেন। তবে তার এ বীরপ্রতীক খেতাব এখনো গেজেটভুক্ত হয়নি।
Share this content: