এবিএনএ : সন্তানের যাতে কোনও কাজ করতে কষ্ট না হয় সেটা সব বাবা–মাই চান। একারণে তাদের প্রত্যেক কাজে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তারা। কিন্তু শিশুরা বেড়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে কিছু কাজ তাদের একা একা করতে দেওয়া উচিত। তাহলে তার মধ্যে আত্মবিশ্বাস গড়ে উঠতে সাহায্য করবে। বড়দের মতো ছোটদেরও গুরুত্ব দিতে হবে। নিজের কোনও ভাবনার কথা বড়দের বলতে গিয়ে যদি শিশুরা বুঝতে পারে তাদের নিয়ে কেউ হাসছে তাহলে তারা রেগে যায়। এরপর নিজের কোনো পরিকল্পনার কথা সে কারো সঙ্গে ভাগাভাগি করতে চায় না। একারণে তার ভাবনার কথা শুনে তার সামনে কখনও হাসাহাসি করা ঠিক নয়। অপরিচিত হলেও বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তাদের নিয়ে যেতে হবে। তাহলে তারা মানুষের সঙ্গে মিশতে শিখবে। শিশুদের বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র শেখানো যেতে পারে। এটা তাদের মনকে ভারমুক্ত রাখতে সাহায্য করবে। শিশুদের রান্নাঘরের কাজে যুক্ত করতে পারেন। এর মানে এই নয় যে, তাকে রান্না কিংবা কোনো কিছু কাটাকাটি করতে হবে। বরং এটা সেটা এগিয়ে দিতে বললে তার মধ্যে উৎসাহ বাড়বে।
শিশুদের যেকোন সাফল্য উদযাপন করুন। হতে পারে সেটা পরীক্ষায় ভাল ফল,ছবি আঁকা, খেলাধূলা অথবা অন্য যেকোন কাজ । প্রশংসা পেলে শিশুদের মধ্যে উৎসাহ বেড়ে যায়, আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়। কখনও কখনও শিশুরা মনে করে তারা যা জানে তা বড়রা জানে না। তাদেরকে তার জ্ঞান ভাগাভাগি করার সুযোগ দিন।শিশুকে আত্মবিশ্বাসী দেখতে চাইলে নিজেও আত্মবিশ্বাসী হোন। আপনাকে দেখলে শিশুর মধ্যেও তা তৈরি হবে। শিশুরা যাতে নিজের সমস্যার কথা বলতে পারে এজন্য তার সঙ্গে সহজভাবে মেশার চেষ্টা করুন। চোখে চোখ রেখে কথা বলুন। তার কথা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। তাহলে সে সহজে আপনাকে বিশ্বাস করতে পারবে।শিশুরা কোনো কিছুতে ব্যর্থ হলে তাকে বকাঝকা করা ঠিক নয়। বরং ব্যর্থ হলে তাকে পরিস্থিতি মেনে নিতে উৎসাহিত করুন। এমন আচরন তাকে আগামীতে আত্মবিশ্বাসী হতে সাহায্য করবে।