
এবিএনএ : বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার। তিনি বলেছেন, মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হতে হলে যেসব সূচক অর্জন করতে হয় তার সবই অর্জিত হয়েছে। তাই বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীতে সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা বলেন। কামরুন নাহার বলেন, সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত প্রচেষ্টায় মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের যোগ্যতা অর্জনের সাফল্য ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন বিষয়ে এই মতবিনিময় করেন তিনি।
আঞ্চলিক তথ্য অফিস জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সভাটির আয়োজন করে। সভার শুরুতে নেপালে বিধ্বস্ত বিমানে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। পরে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা কামরুন নাহার বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। এখন তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন। তার হাত ধরেই এরই মধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে দেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, দেশ মধ্যম আয়ে উন্নীত হতে হলে জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি-সিডিপির তিনটি মানদণ্ড অর্জন করতে হয়। মাথাপিছু আয়ের মান হচ্ছে এক হাজার ২৪২ মার্কিন ডলার। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের অর্জন এক হাজার ৬১০ মার্কিন ডলার। আরেকটি মানদণ্ড হলো- মানবসম্পদ উন্নয়নের সূচক। এটা ৬৬ থাকলে উত্তরণ ঘটবে। তবে বাংলাদেশের অর্জন রয়েছে ৬৯ দশমিক ৫।
অপর একটি সূচক হলো অর্থনৈতিক ঝুঁকির মান। মধ্যম আয়ের দেশে এটি সর্বোচ্চ ৩২ হতে পারবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন ২৫ দশমিক ০৩; অর্থাৎ বাংলাদেশ এই তিন সূচকেই সিডিপির নির্ধারিত মানের চেয়ে অনেক এগিয়ে রয়েছে। জাতিসংঘ থেকে এটির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা কিছুদিনের মধ্যেই পাওয়া যাবে।
তথ্য কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশকে আগে তলাহীন ঝুড়ি বলা হতো। দুঃখ, দারিদ্র্য, হতাশার মধ্যেই আমাদের দেশ চলত। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে দেশ এগিয়ে এসেছে। দেশে এখন নিজের টাকায় পদ্মা সেতু হচ্ছে। সাব-মেরিন ক্যাবল এসেছে। কিছু দিনের মধ্যে স্যাটেলাইটও উৎক্ষেপণ হবে। এসব সম্ভব হচ্ছে সব মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে। এই প্রচেষ্টা দেশকে মধ্যম আয়ে উন্নীত করেছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর যে ভিশন-২০২১, ২০৪১, এমডিজি ও এসডিজি গোলও এই উত্তরণের পেছনে কাজ করেছে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং শিল্পকারখানা ও অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বৃদ্ধিও এই অর্জনের ক্ষেত্রে অনেক বেশি ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে। খুব শিগগির জাতিসংঘ বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন প্রধান তথ্য কর্মকর্তা।
মতবিনিময় সভায় সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ফাইজুল হক, তথ্য অধিদপ্তরের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোফাস্বেরা কাদেরী, জেলা প্রশাসক এসএম আবদুল কাদের, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, জেলা তথ্য অফিসের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা ফারুক মো. আবদুল মুনিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
Share this content: