এবিএনএ : কোনো খাবার বা এ জাতীয় জিনিস দীর্ঘদিন সংরক্ষণের জন্য সচরাচর তা ফ্রিজে রেখে দেয়া হয়। তবে কোন জিনিস রাখা যাবে বা যাবে না তা আমরা অনেকেই জানি না। এর ফলে না জেনেই অামরা অনেক কিছু ফ্রিজে রেখে দেই। ফলে যা হবার তা-ই হয়। তাই কোন কোন জিনিস ফ্রিজে রাখা যাবে না সেসব নিয়েই নিচে আলোচনা করা হলো :
টমেটো : সতেজ রাখার জন্য অনেকেই টমেটো ফ্রিজে রাখেন। কিন্তু ফ্রিজে রাখলে টমোটোর বর্ণ ফ্যাকাশে হয়ে যায়। তাই বাইরেই রাখুন। পরিষ্কার কোনো পলিথিন ব্যাগে কিংবা কাগজের প্যাকেটেও রাখতে পারেন। এভাবে সংরক্ষণ করলে টমেটো ৩ দিন পর্যন্ত ফ্রেশ থাকে।
রসুন : রসুন বাইরে রাখাই ভালো। বাইরেই এটি ২ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে। তবে এমন জায়গায় রাখুন যেন রসুনে বাতাস লাগে।
পেঁয়াজ : পেঁয়াজ কেনার পর বাইরে খোলা স্থানে রাখুন কিংবা এমন কোনো জায়গায় রাখুন যেন বাতাস লাগে। তবে পেঁয়াজ সবসময় আলু থেকে দুরে রাখুন। কারণ আলু থেকে আর্দ্রতা ও গ্যাস নির্গত হয়ে থাকে যার জন্য পেঁয়াজ পচে যায়।
পাউরুটি : পাউরুটি ফ্রিজে রাখবেন না। কারণ ফ্রিজে রাখলে তা দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়, খেতেও ভালো লাগেনা। বাইরেই পাউরুটি ৪ দিন পর্যন্ত ভালো থাকে।
আলু : আলু ফ্রিজে রাখলে এর গন্ধ নষ্ট হয়ে যায়। আলু বাইরে ৩ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। তাই বাইরে খোলা জায়গায় রাখুন।
হট সস : হট সস ফ্রিজে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। কারণ এটি ৩ বছর পর্যন্ত বাইরে নিশ্চিন্তে রাখা যায়।
কুমড়া : কুমড়া একটি সুস্বাদু সবজি। আমাদের দেহের জন্যও খুব ভালো এই সবজিটি। এটি ফ্রিজে না রাখাই ভালো। কারণ বাইরেই এটি কমপক্ষে ৩ থেকে ৪ দিন রাখা যায়।
কফি : নষ্ট না হওয়ার জন্য অনেকেই কফি কিনে ফ্রিজে রেখে দেন। এতে কফি জমে ঘন হয়ে যায় এবং এর গন্ধ নষ্ট হয়। তাই কফি ভালো একটি পাত্রে রেখে ঢাকনা দিয়ে ভালোভাবে আটকে রাখুন। এটি অনেকদিন ভালো থাকবে।
নেইলপলিশ : নেইলপলিশ ঘন করতে অনেকেই এটি ফ্রিজে রাখেন। তবে এটি ফ্রিজে না রাখাই ভালো। সাধারণ তাপমাত্রায় রাখলে নেইলপলিশ অনেকদিন ভালো থাকবে।
ব্যাটারি : ব্যাটারির পাওয়ার শেষ হয়ে গেলে অনেকেই মনে করেন ফ্রিজে রেখে কিছুক্ষণ ঠাণ্ডা করলে এটি আবারও চলবে। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। ব্যাটারি সবসময় ড্রয়ারে সাধারণ তাপমাত্রায় রাখুন। কারণ বেশি ঠাণ্ডায় ব্যাটারির সমস্ত কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়।